পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৮ । জিজ্ঞাসা করিত, ও জলটা ক্রমশঃ ঠাও হইয়া শেষটা বরফে भश्रिीलं रुहेड। কিন্তু দুঃখের বিষয় কয়লার জালে জল ঠাও করিয়া বরফ উৎপাদনের প্ৰণালী এ পর্যন্ত কেহ আবিষ্কৃত করিতে পারেন নাই। দুঃখের বিষয় সন্দেহ নাই, কিন্তু জগতের বর্তমান নিয়মই এই । পাঠক মহাশয় অনুগ্রহ পুরঃসর এই নিয়মটা অস্ততঃ বর্তমান প্রস্তাব শেষ হওয়া পর্যাস্ত আপনার মস্তিষ্কের এক কোণে পুরিয়া রাখিবেন। আর একটা কথা। তাপ নামক নিরাকার বা কিন্তু,তকিমাকার পদার্থটা যে নিতান্তই কাজের জিনিষ, তাহ বোধ হয় বলা বাহুল্য হইবে ; বিশেষতঃ এই ষ্টীম এঞ্জিনের যুগে । কলিকাতায় তাড়িত প্রবাহযোগে টাম গাড়ি চালাইবার প্রস্তাব হইতেছে শুনা যায় । কিন্তু তাড়িত প্রবাহের মূল কোথায় ? কতকটা কয়লা পোড়াইয়া ত৫২পন্ন তাপকে তড়িত প্রবাহে বিকৃত করিয়া পরে তস্থার ট্রাম গাড়ি চালাইবার ব্যবস্থা হইবে। এবং হয়ত সেই তাপেরই কিয়দংশ হইতে সহরের রাজপথগুলি রাত্রিকালে আলোক পাইবে, গৃহস্থেরা আপন আপন ঘরে দীপ জালিবে ও রান্না করিবে, তালিস ঘরের পাখাটান হইবে, ময়দা ও শুরকির কল পর্য্যস্ত চলিতে থাকিবে । অতএব তাপ পদার্থটা কাজের জিনিষ সন্দেহ নাই। কিন্তু তাপ হইতে আমরা কাজ পাই কিরূপে ? একটু লাৰয়। দেখ আবশুক । - একটা উদাহরণ লও। মনে কর বর্তমান কালের ষ্টীম এঞ্জিন বা বাষ্পীয় যন্ত্র । এই যন্ত্র তাপকে কাজে পরিণত করিয়া, তদ্ধার জল তোলে, গাড়ী টানে, জাহাজ চালায়, ময়দা পিষে, ইত্যাদি । কিন্তু প্রণালীটা কিরূপ ? কয়লা পোড়াইয়া তাপ জন্মান হয় । সেই তাপের কিয়দংশ-কিয়দংশমাত্র—জল গরম করিতে যায়। গরম o হইতে গরম বাষ্প উঠিয়া ঠাণ্ড জলে গিয়া মিশে ও ঠাণ্ড হয় ;