পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పిJDల জিজ্ঞাসা ংবাদ সংগ্ৰহ করিয়া আনিয়া কৰ্ম্মেন্দ্রিয়গুলিকে যথোচিত কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত করায় ; সেই বাহা জগতের সহিত তাহার স্পর্শে তাহার ‘বেদন’ বা নানাবিধ নবনব রূপরসগন্ধের অনুভব ফুটিয়া উঠে । বেদন কষ্টতে ‘তৃষ্ণা’ অর্থাৎ আরাম উপভোগের ও দুঃখ পরিহারের আকাজক্ষা ; তাহা হইতে “উপাদান’ অর্থাৎ জগতের প্রতি আসক্তি এবং সুখলাভের ও দুঃখ পরিহারের জন্য প্রযত্ন চেষ্টা ও প্রয়াস । এই অবস্থায় উপনীত হইলে ‘ভব’ ; এতক্ষণে ভ্রণের মনুষ্যত্ব অস্তিত্ব লাভ করিয়াছে । এই সময়েই সে ‘জাতি’ লাভ করে আর্থাৎ লৌকিক হিসাবে তাহার মনুষ্যজন্ম পূর্ণতা লাভ করে । তাহার এই জাতিলাভের অর্থাৎ পুর্ণমনুষ্যত্বপ্রাপ্তির পরবর্তী ও অবশুম্ভাবী ফল জরামরণ । এই ব্যাখ্যাটা নিতান্ত মন্দ শুনায় না । বুদ্ধদেব যেন একটা ফিজিয়লজির তত্ত্ব আবিষ্কার করিয়াছিলেন । আধুনিক এন্থ,ায়োলজি বা ভ্রণবিদ্যা বুদ্ধদেবের উদ্ভাবিত জীবনতত্ত্ব স্বীকার করিবে কি না, জানি না ; কিন্তু এই পর্য্যস্ত বলিতে পারি যে, এইরূপ শারীর তত্ত্বের আবিষ্কারে মার মহাশয়ের ততদুর ভয় পাইবার দরকার ছিল না । এই ব্যাখ্যা বৌদ্ধাচার্য্যের সকলে স্বীকার করেন না । মহাযানী সম্প্রদায় সকলের মধ্যে অন্তরূপ ব্যাখ্যা প্রচলিত আছে । ইউরোপের ওলডেনবর্গ, রিস ডেবিডসূ. চাইলডাস প্রভৃতি পণ্ডিতেরাও সেই সকল অবলম্বনে নানারূপ ব্যাখ্যা দিয়াছেন । কয়েক বৎসর হইল কলিকাতার ডাক্তার ওয়াডেল অজণ্ট গ্রামে গুম্ফা মধ্যে বৌদ্ধগণের অঙ্কিত ভবচক্রের এক চিত্র আবিষ্কার করিয়াছেন । সেই ছবিতে বারটি নিদানের পরস্পর সম্বন্ধ দেখান হইয়াছে । ওয়াডেল সাহেব তিববত হইতেও ভবচক্রের ছবি আনিয়াছেন ; ওয়াডেলের মতে এই ভবচক্রের চিত্রে প্রতীত্যসমুৎপাদের খাটি ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। সেই ছবির একটু সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া যাইতেছে ।