প্রতীত্যসমুৎপাদ Հ8Փ: কিছু বাহিরে আছে, তাহ রূপরসগন্ধ নহে, তবে তাঙ্গ জ্ঞাতার সম্মুখে রূপরসাদি স্বরূপে প্রকাশ পায় মাত্র । সেই অনিৰ্ব্বাচ্য কোন কিছুকে ভাষায় বুঝাইবার উপায় নাই ; কেননা বুঝাইতে গেলেই উহাতেজ্ঞানগম্য ধৰ্ম্ম অৰ্পণ করিতে হইবে। সাংখ্যের ঐ অনিৰ্ব্বাচা একটা-কিছুর প্রকৃতি নাম দেন ; স্পেন্সারের ভাষায় উহ। অজ্ঞেয় তত্ত্ব। বৌদ্ধ এই অনিৰ্ব্বাচ্য কোন-একটা-কিছুর অস্তিত্ব আদৌ মানেন না এবং বলা বাহুল্য এবিষয়ে তিনি একাকী নহেন । বৌদ্ধ বলেন, প্রতীয়মান রূপরসাদির অস্তরালে কিছুই নাই। ঐ রূপরসাদির সমষ্টিকেই আমরা বাহাজগৎ বলিয়া মনে করি 1 এই মনে করাকে বিদ্যা না বলিয়া অবিদ্যা বলাই মঙ্গত । কেননা, কেন ঐ রূপ মনে করি, তাহার কোন সঙ্গত কারণ দেখাইতে পারি না । ঐ রূপ মনে না করিয়া অন্তরূপ মনে করিলেও যখন সেই প্রশ্নই আবার উপস্থিত হইত, তখন ও কথাটা অবিদ্যা বা ভ্রান্তি বা জ্ঞানাভাব বলিয়া চাপা দেওয়াই ভাল । বহিজগতের স্বরূপ সম্বন্ধে বেীদ্ধের এই কথা । তার পর অস্তর্জগতের স্বরূপ । অন্তর্জগতে যে স্মৃতি-উপলব্ধি, বিচার-বিতর্ক, শোকহর্ষ, সংকল্প-চেষ্টা, সুখ-দুঃখ, এ সকলও আমাদের জ্ঞানের বিষয় । উহাদের জ্ঞানগম্য আকার ভিন্ন অন্ত আকার আমরা অবগতও নহি, কল্পনাতেও আনিতে পারি না ; কল্পনা করিতে গেলে তাহীও জ্ঞানগম্যই হইবে। উহাদের অন্তরালে অজ্ঞেয় কোন একটা কিছু নাই। একটা অনিৰ্ব্বাচ্য কিছু আছে যাহারা বলেন, তাহারা ভ্রান্ত । বৌদ্ধমতে বাহাজগৎ ও অন্তর্জগৎ উভয়েরই ব্যাবহারিক অস্তিত্ব ভিন্ন পারমার্থিক অস্তিত্ব কিছুই নাই । যাহা দেখি তাহাই আছে—তাহ। কতিপয় ভিত্তিগন ক্ষণিক জ্ঞানের সমষ্ট । মরীচিকা বা আকাশলী গন্ধৰ্ব্বনগর বা স্বপ্ন যেমন ভিত্তিহীন জ্ঞানের সমষ্টি মাত্র, বাহাজগৎ ও
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৫৪
অবয়ব