পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ8b" জিজ্ঞাসা এই সংস্কারগুলি একত্র করিয়া যথাস্থানে বিন্যস্ত করিলেই নামরূপ অর্থাৎ বিশ্বজগৎ প্রস্তুত হয় । কয়েকখানি কাষ্ঠখণ্ডকে যথাস্থানে সন্নিবেশিত করিয়া আমরা তাহীদের নেমি অর নাভি প্রভৃতি নাম দিয়া থাকি, এবং সন্নিবেশের পর যে দ্রব্য দাড়ায়, তাহাকে রথচক্র আখ্যা দিয়া থাকি । এক একখানা কাষ্ঠকে রথচক্র বলা যায় না ; কাষ্ঠ কয়েকখান। এক নির্দিষ্ট বিধানে সাজাইলে তবে তাহার নাম রথচ ক্র হয় । সেইরূপ সংস্কারগুলি অর্থাৎ বিচারবিতর্ক, রাগদ্বেষ, সুখদু:খাদি চিত্তবৃত্তিগুলি বিজ্ঞান-সহযোগে যথাস্থানে সন্নিবেশিত হইলে যাহা দাড়ায়, তাহাই জগৎ । ঐগুলি একে একে লোপ করিলে জগতের আর কিছুই অবশিষ্ট থাকিবে না । এইখানে প্রশ্ন উঠিতে পারে, আত্মা নাই বা থাকিল ? বিজ্ঞানই যেন বাহাজগৎকে ও অন্তর্জগৎকে এরূপ সম্বন্ধযুক্ত করিয়৷ এই জগতের স্বষ্টি করিল, এবং বিজ্ঞানই যেন মিথ্যা অহং প্রতায়ের স্বষ্টি করিয়া আমার সুখ, আমার দুঃখ, আমি দেখিতেছি, আমি করিতেছি ইত্যাদি ভ্রম জন্মইল ; কিন্তু বিজ্ঞানই বা এরূপ করে কেন ? ইহার উত্তর কি ? বিজ্ঞান সংস্কারগুলিকে সজ্জিত করিয়া নামরূপের নিৰ্ম্মাণ করিল কেন ? কাষ্ঠখণ্ডগুলি সজ্জিত হইয়। রথচক্রে পরিণত হইল কিরূপে ? বৌদ্ধদর্শনের উত্তর, এই ব্যাপারের মূলে অবিদ্যা ; ইহার কারণ শবিদ্যা । এই বাক্যের স্পষ্ট অর্থ কি, ঠিক বলিতে সাহস করিতেছি না । অবিদ্যা অর্থে হয় অজ্ঞান বা জ্ঞানাভাব, অথবা ভ্রান্ত জ্ঞান। প্রথম অর্থ যদি ঠিক হয়, তাহ হইলে বৌদ্ধদৰ্শন বলেন, কেন হয় জানি না । উহ। খাটি আগ্নষ্টিকের কথা । দ্বিতীয় অর্থ যদি ঠিক হয়, তাহা হইলে বৌদ্ধদৰ্শন বলেন, উহা একটা ভ্রাস্তিমাত্র । সংস্কারগুলি সজ্জিত আছে তুমি দেখিতেছ । সজ্জিত সংস্কারসমূহ বিজ্ঞানযোগে নামরূপের স্বষ্টি করিয়াছে, তাহাও বোধ হইতেছে ; কিন্তু সবই মিথ্যা, সবই স্বপ্নের