পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতীত্যসমুৎপাদ ૨8 જ মত বা মরীচিকার মত অলীক কল্পনা । বৈদাস্তিক অন্তরূপে উত্তর দেন । তিনি বিজ্ঞানের অস্তরালে, বিজ্ঞানের উপরে, আত্মার অস্তিত্ব মানেন। আত্মা বিজ্ঞানদ্বারা ইহা করায় । কেন করায় ? না, ঐরূপই আত্মার মায়। বা আত্মার থেল। বা আত্মার স্বভাব । যাহাই হউক, পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, অজ্ঞান ও ভ্রান্ত জ্ঞান, উভয়ের মধ্যে সীমানির্দেশ দুরূহ । এখন কতকটা কিনারা পাওয়া গেল । দার্শনিক অভিব্যক্তি কাহাকে বলে, তাহা বুঝা গেল। জগৎ এমন দেখায় কেন, জগৎ এরূপ হইল কিরূপে, জগৎ অভিব্যক্ত হইল কিরূপে, বৌদ্ধমতে তাহার উত্তর পাওয়া গেল। মূলে অবিদ্যা—জ্ঞানাভাব বা ভ্রম। অবিদ্যাবলে ংস্কারগুলি বিজ্ঞানকর্তৃক সজ্জিত ও যথাবিদ্যস্ত হইয়া নামরূপে পরিণত হইয়াছে ও দ্বিধা বিভক্ত হইয়া নামের অর্থাৎ অন্তর্জগতের ও রূপের অর্থাৎ বহির্জগতের মিথ্য মরীচিকা প্রস্তুত করিয়া উভয় নিৰ্ম্মিত বিশ্ব জগতের স্বষ্টি করিয়াছে । নামরূপের বা জগতের স্বষ্টির সঙ্গে সঙ্গে যড়ায়তন অর্থাৎ ইন্দ্রিয়চয় স্বই হয় । কেননা, ইন্দ্রিয়গুলির সাহায্যেই অন্তর্জগতের সহিত বহির্জগতের কারবার চলে, ইন্দ্রিয়দ্বারাই উভয়ের মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপিত হয় । ইন্দ্রিয় না থাকিলে অন্তর্জগৎ বহির্জগৎকে স্বতন্ত্র ভাবে বাহিরে রাখিয়া তাহার সহিত আদানপ্রদান করিতে পারিত না । কাজেই যখনই নাম হইতে রূপ পৃথক্ রূপে প্রতীত হইয়াছে, যখনই অন্তর্জগৎ ও বহির্জগৎ বলিয়া দুইটি স্বতন্ত্র জগৎ কল্পিত হইয়াছে, তখনই ইন্দ্রিয় আবিভূত হইয়াছে । বলা উচিত, দর্শন শাস্ত্রে ইন্দ্রিয় বলিতে চক্ষুকৰ্ণাদি দৈহিক অবয়ব বুঝায় না ; ইন্দ্রিয় শব্দে সেই শক্তি বুঝায়, যদ্বারা রূপরসাদি উপলব্ধির বিষয় হয় । ইন্দ্রিয় আছে বলিয়াই অন্ত:শরীর বা অন্তর্জগৎ বাহজগৎ বা জড়জগৎ হষ্টতে পৃথক্ ও স্বতন্ত্র বলিয়া প্রতীয়মান হয় । তাহারা কি বাস্তবিকই