পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগতের অস্তিত্ব ›ፃ হইল ? বলিতে পার স্বপ্নে দৃষ্ট ঘটনাবলীর মধ্যে সঙ্গতি ও সামঞ্জস্ত নাই, আৰু প্রত্যক্ষ জগতে ঘটনাবলীর মধ্যে সামঞ্জস্ত আছে। প্রত্যক্ষ জগতে সমস্ত ঘটনাগুলি অবিরোধে একটা কাহিনী বা প্লটের স্বরূপে একটা উদ্দেশুের দিকে চলিতেছে, আর স্বপ্নে সমুদয় ঘটনাই পরস্পর অসঙ্গত । কিন্তু স্বপ্নে যে সামঞ্জস্যের অভাব আছে, তাহা আমরা সুপ্ত অবস্থায় কিছুতেই বুঝিতে পারি না ; তখন একটা বিচিত্র মুসঙ্গত অভিনয়, বিচিত্র প্লটই দেখিতে পাই । জীবন যদি স্বপ্লাবস্থা হয়, তবে জীবন সত্ত্বে এ স্বপ্নে সামঞ্জস্তের অভাব ধরিব কিরূপে ? বলিতে পার, একটা মাত্র অনুভূতি আমাদের ভ্রম জন্মাইতে পারে ; কিন্তু যখন পাচটা ইন্দ্রিয়ের পাঁচটা অনুভূতি স্বতন্ত্রভাবে পরস্পরের পক্ষে সাক্ষা দিতেছে ; চোখের ভ্রম স্পর্শে, স্পশের ভ্রম শব্দে নিরাকৃত হইতেছে ; পরস্পরের মধ্যে অবিসংবাদী অবিরোধ বিদ্যমান ; তখন জগৎকে মিথ্যা কিরূপে বলিব ? উত্তর, স্বপ্নাবস্থাতেও একটা অনুভূতিমাত্র এক সময়ে থাকে না ; দৃষ্টি, শ্রুতি, স্পর্শ, সমুদয় একত্র কাজ করিয়া পরস্পরের অবিরোধে এক সুখদুঃখময়, হাসি কান্না-ময়, মনোজ্ঞ, কৌতুকময় জগতের স্বষ্টি করে । আবার জগতের অস্তিত্বের প্রমাণ যদি ইন্দ্রিয়ানুভূতির সংখ্যার উপর নির্ভর করে বল, তাহা হইলে সে প্রমাণের ভিত্তি নিতান্ত শিথিল হয় । ভাগ্যে মানুষের পাঁচ রকম অনুভূতি আছে, তাই কথাটা তুলিতেছ। আমার রূপান্তভূতি আছে, তাই ইন্দু আমার নিকট অমৃতধার ঢালে ; শব্দানুভূতি আছে, তাই বিহগকুল স্বরবসার ঢালে ; গন্ধানুভূতি আছে, তাই কুহুম স্বরeিভার ঢালে । যে ব্যক্তির কোন অনুভূতি নাই, যে ব্যক্তি জ্ঞানেন্দ্রিয়হীন, তার কাছে সবই মহাশূন্ত ; তার কাছে যুক্তি তর্ক কোথায় লাগিবে ? আবার আর এক কথা বলিতে পার, আমিই ন হয় ভ্রান্ত, সকলেই কি ভ্রান্ত ? তুমি, তিনি, সে, সকলেই কি একই ভ্ৰমে ভ্রাত্ত হইয়। একই স্বপ্নের দর্শনে নিরত ? কিন্তু হায়, তুমিই বা কে, আর R