পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতীত্যসমুৎপাদ ミ○ > পত্তি ও মাতৃগর্ভে ভ্রণের পরিণতি পৰ্য্যস্ত বিজ্ঞানশাস্ত্র যে অভিব্যক্তির কথা বলে, এই প্রতীত্য সমুংপাদে সেরূপ অভিব্যক্তির কথা অংদেী বলে না । ঐ সকল অভিব্যক্তি বহুকাল ব্যাপিয়া ঘটে। সৌরজগৎ কোন কালে নীহারিকার অবস্থায় ছিল কে জানে ? ভূপৃষ্ঠে জীবকুলের কত লক্ষ বা কত কোটি বৎসরে উৎপত্তি হইয়াছে, তাহা লইয়া বিতণ্ড এখনও চলিতেছে । মাতৃগর্ভে ভ্রণের পরিণতিতে নয়মাস দশদিন সময় লাগে ; সেই ভ্রণ আবার ভূমিষ্ঠ হইয়। কতদিন ধরিয়া পরিণতি পায় ০ পূর্ণ মনুষো পরিণত হয় । কিন্তু প্রতী ত্যসমুৎপাদ বে স্বষ্টির কথা বলিতেছে, তাহ। কালপাপী নহে । এষ্ট বিশ্ব মরীচিকা এখনই, ”এই ক্ষণেই, অবিদ্যাকল্পিত হইয়া গুরূপ দেখাইতেছে । বিশ্বজগৎক্ট যেখানে কল্পনা, সেখানে উহার সমস্ত অতীত ও সমস্ত ভবিষ্যং—যে অতীতের ইতিহাস বিজ্ঞানশাস্ত্র খুজিয়া বাহির করে ও যে ভবিষ্যতের কাহিনী আবিষ্কারের জন্ত ব্যগ্র হয়—সেই সমস্ত অতীত ও ভবিষ্যৎ কল্পনামাত্র । ভগবান তথাগত যোধিদ্রুমতলে সাধনার পর যে চারিটি আর্য্য সত্য বাহির করিয়াছিলেন, তাহার একটির মৰ্ম্ম এষ্ট যে, এই বিশ্বজগতের স্বরূপ দুঃখাত্মক । যে নাম ও রূপ লইয়া বিশ্বজগৎ, যে অস্তর্জগৎ ও বহির্জগতে আমরা সমস্ত প্রতীয়মান বিশ্বকে ভাগ করি, তাহাদের পরস্পর আদান প্রদানের একমাত্র ফল দুঃখ । জরামরণ শোক পরিদেবন দেীক্ষ্মনস্য সেই দুঃখেরই প্রকারভেদ মাত্র । এই দুঃখ নিরোধের উপায় ও ভগবান আবিষ্কার করিয়াছিলেন । দুঃখনিরোধের উপায়ও তদাবিষ্কৃত চারিটি শার্য্য সত্যের অন্ততম । দু:খই ব্যাধি ; প্রতীত্য সমুৎপাদ সেই ব্যাধির নিদান তত্ত্ব ; এবং ত,াষ্টাঙ্গিক মার্গ অবলম্বন সেই ব্যাধির মহৌষধি ৷ তথাগত স্বয়ং সেই নিদানতত্বের ও সেই মহৌষধির আবিষ্কৰ্ত্ত বৈদ্যরাজ। নাম ও রূপ উভয়ই পারমার্থিক অস্তিত্বহীন ; উহাদের অন্তরালে অনিৰ্ব্বাচ্য অজ্ঞেয় কিছুই নাই ; কেবল উহা ক্ষণিক