পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Tob’ জিজ্ঞাসা তিনিই বা কে ? তুমি ও তিনি ত আমারই কল্পিত। তোমরা ত বাহ জগতেরই অংশ, সুতরাং আমারই হুঁঃ পদার্থ। আমি জগৎ দেখিতেছি সত্য, কিন্তু তুমি জগৎ দেখিতেছ তাহার প্রমাণ কি ? তুমি ত আমার কল্পিত, আমারই হাতগড় সাক্ষী ; তোমার সাক্ষ্যে স্বতন্ত্রতা নাই । দাড়াইল এই ;–আমি চিন্তা করি, অনুভব করি, অতএব আমি আছি । জগৎটাকে অনুভব করি বলিয়া যে জগৎ আছে, তাহার প্রমাণাভাব। এটা আমার আফিমূখুরির পরিচয় মাত্র । তোমাকে ও তাহাকে ও আমার ভৌতিক কলেবরটাকে লইয়া সমগ্র বাহ জগৎ । কিন্তু এই জগৎ আমার কল্পনা, আমার চিন্তা, আমার অনুভূতি, বাসনা ও কামনা ও তৃপ্তি প্রভৃতির সমষ্টি । এক কথায় সবটাই আমার ভিতর ; আমিই সব। ফলে যুক্তিশাস্ত্র এই ঘোর স্বার্থময় সিদ্ধান্তে আনয়ন করে । আমিই সব, তুমি আবার কে ? ইহার ফল বৈরাগ্য । জগৎ মিথ্যা, মায়া, মোহ ;–নিজের কাজ দেখ । এই স্বার্থময় বৈরাগ্যজনক ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে অন্ত যুক্তি নাই ; একমাত্র যুক্তি লাঠি । প্রকৃতি স্বয়ং লগুড়হস্তে দণ্ডায়মান । আমি উত্তম পুরুষ, তুমি মধ্যম পুরুষ, বাকিট প্রথম পুরুষ। প্রকৃতি বলিতেছেন, ভে উত্তম পুরুষ, তুমি তোমার সহবর্তী মধ্যম পুরুষের অস্তিত্ব স্বীকার কর ; নতুবা তোমার কল্যাণ নাই । . আমি উত্তম পুরুষের অস্তিত্বে যুন্দিহান নহি, এবং উত্তম পুরুষের কল্যাণ বিশেষরূপে বুঝি । উত্তম পুরুষের কল্যাণ সাধনই আমার পরম পুরুষার্থ। উত্তম পুরুষের কারণ আপনার্থ আমি মধানপুরষদ ঃ তোমার অস্তিত্ব মানিয়া লই । তোমাৰু ভৌতিক শরীরের ཨ་།། , ধর জন্ত আমি প্রমাণ সংগ্রহে ব্যাপৃত । কিন্তু তোশার চৈতন্তের অস্তিত্ব অস্বীকার করিলে আমার জীবনযাত্রা চলে না । আমি যেমন চৈতন্যশালী একটা না একটা কিছু, তুমিও তেমনি সৰ্ব্বতোভাবে আমারই মত আহারনিদ্রা ভয়ত পপ, ঈৰ্ষী ঘুণী অসন্তুষ্ট, চৈতন্তশালী কিছু-না