পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬২ জিজ্ঞাসা গ্রহণ করিয়াছিলেন। যীশুখ্ৰীষ্ট র্তাহার অবতার এবং তিনিই মনুষ্যের পরিত্রাণকর্তা । বুদ্ধদেব ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, কাহারও করুণ দ্বারা মনুষ্য আপন কৰ্ম্মফল হইতে মুক্ত হইতে পারে, এরূপ বিশ্বাস তিনি করিতেন না । একমাত্র জ্ঞানের পস্থা ভিন্ন মুক্তির দ্বিতীয় পন্থা তিনি দেখান নাই । তবে সেই পন্থা তিনি নিজে আবিষ্কার করিয়াছিলেন । তিনি মুক্তির পথপ্রদর্শক ছিলেন মাত্র ; মুক্তিদাতা বলিয়া আপনাকে প্রচার করেন নাই ; এবং পুনরুক্তির প্রয়োজন নাই যে, খ্ৰীষ্টানের পরিত্রাণ ও বৌদ্ধের নির্বাণমুক্তি একবিধ পদার্থ নহে। কিন্তু বুদ্ধ নিজে যে ক্ষমতার স্পৰ্দ্ধ করেন নাই, তাহার শিষ্যেরা তাহার প্রতি সেই ক্ষমতা অৰ্পণ করিয়াছিল । তাহাকে জীবের করুণাময় পরিত্রাণকর্তা বলিয়া নির্দেশ করিয়াছিল । বুদ্ধগণের ও বোধিসত্ত্বগণের ও বুদ্ধশক্তিগণের শরণগ্রহণ ও উপাসনা সংসার হইতে উদ্ধার প্রাপ্তির সহজ উপায় বলিয়া নির্দেশ করিয়াছিল । এমন কি, বৌদ্ধের বুদ্ধমুখে বলাইয়াছিলেন, "কলিকলুষকৃতানি যানি লোকে, ময়ি নিপতন্তু বিমুচ্যতাং তু লোকঃ” ( তন্ত্রবাৰ্ত্তিক ১১৬।১৩)—কলির বশে জীব যে সকল পাপকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করে, সেই পাপের ভার অামার উপর পতিত হউক, জীব সেই পাপভার হইতে মুক্ত হউক—দয়াময় বুদ্ধে আরোপিত এই উক্তির সহিত দয়াময় যীশু খ্ৰীষ্টের উক্তির অধিক প্রভেদ নাই। এই উক্তিকে খাটি খ্ৰীষ্টানি মত বলিলে অতু্যক্তি হইবে না। আমি অতি দীনহীন, মুই অতি পাপী, প্ৰভু নিজগুণে দয়া করিয়া আমাকে উদ্ধার কর–আধুনিক বৈষ্ণবেরা এ কথা আধুনিক বৌদ্ধের নিকট শিখিয়াছিলেন, মনে করা যাইতে পারে। বৌদ্ধসম্প্রদায় ইহ। খ্ৰীষ্টানের নিকট পাইয়াছিলেন অথবা খ্ৰীষ্টানেরা ইহা বৌদ্ধগণের নিকট পাইয়ছিলেন, ঐতিহাসিকের। তাহার বিচার করিবেন । বুদ্ধপ্রচারিত নিৰ্ব্বাণতত্বের সহিত ব্রাহ্মণের স্বীকৃত বৈদাস্তিক