পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি ২৭৩ বার্কলির idealism এর সহিত ইহার মিল আছে, আবার প্রভেদও আছে । বার্কলি প্রতীয়মান জড়জগতের পারমার্থিক স্বতন্ত্র অস্তিত্ব স্বীকার করিতেন না । অদ্বয়বাদীও স্বীকার করেন না । উভয়েরই মতে প্রতীয়মান জগৎ প্রত্যয়সমষ্টিমাত্র । এই প্রত্যয়স্বরূপ জগৎ যে চেতন পদার্থের সমীপে প্রতীত হয়, তাহার নাম আত্মা । বার্কাল ও অদ্বয়বাদী উভয়েই এই চেতন আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করেন । র্তাহাদের উভয়ের নিকট এই প্রতীয়মান জগতের সাক্ষী চেতন আত্মার অস্তিত্ব স্বতঃসিদ্ধ সত্য । এই চেতন সাক্ষী না থাকিলে জগৎ কেবল অসম্বদ্ধ প্রত্যয় পরম্পরায়, ক্ষণিক বিজ্ঞানের সমষ্টিতে পরিণত হষ্টত। বার্কলির ভাষায় এই চেতন আত্মাই রূপ দেখে ও শব্দ গুনে ও আপনাকে রূপের দ্রষ্ট ও শব্দের শ্রোতা বলিয়া জানে ; চেতন আত্মা না থাকিলে রূপ হয়ত থাকিত, শব্দ হয়ত থাকিত ; কিন্তু রূপ শকা শুনিতে পাইত না ও শক রূপ দেখিতে পাইত না ; রূপের সহিত শব্দের কোন সম্পর্ক থাকিত না ; বৌদ্ধগণ জগৎকে ক্ষণিক বিজ্ঞানের সমষ্টি বা প্রত্যয় পরম্পরা বলিয়াই জানেন ; তাহার এই আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করেন না । ইংরেজ দার্শনিকগণের মধ্যে হিউম স্বীকার করেন না । হিউম স্পষ্ট ভাষায় বলিয়াছেন, অনেক পণ্ডিতের নিকট এই সাক্ষী আত্মা স্বতঃসিদ্ধ বস্তু ; তাহার সেই আত্মীকে প্রত্যক্ষ দেখিতে পান ; আমি কিন্তু এই আত্মাকে কখনই দেখিতে পাই নাই । আত্মাকে খুজিতে গিয়া কেবল একটা না একটা প্রত্যয় দেখি, শীতাতপ, আলোআধার, সুখদুঃখ, এইরূপ একটা না একটা প্রত্যয় দেখি ; এই প্রত্যয়, এই ক্ষণিক বিজ্ঞানই আমার পক্ষে সৰ্ব্বস্ব ; স্বযুপ্তির সময় যখন এই প্রত্যয়গুলি লীন হইয়া যায়, তখন আমিও থাকি না । বার্কলির সহিত ঐ পর্য্যস্ত অদ্বয়বাদার মিল আছে। কিন্তু তাহার পরে আর মিল নাই। অৰয়বাদীর মতে আত্মা বহু নহে, আত্মা একমাত্র। সে কোন আত্মা ? আমিই সে >b"