পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগতের অস্তিত্ব 文> বাহিরে ও অন্তরে প্রতিক্রিয়া, ঘাতপ্রতিঘাত । চৈতন্তের অস্তিত্ব বান্তিরে ও ভিতরে, অামার পূৰ্ব্বে ও আমার পরে, এই অর্থে গৃহীত ও স্বীকৃত হইতে পারে । চৈতন্তের আবার দেশব্যাপ্তি ও কালব্যাপ্তি কিরূপ, ইহা লইয়া একটু তর্ক উঠিতে পারে ; সে কথা এখানে তুলিয়া কাজ নাই । দর্শনশাস্ত্র বহুকাল হইতে একটা সদ্বস্তু বা সত্যপদার্থের অন্বেষণে ব্যাপুত আছে । যেন একট। সদ্বস্তুর সাক্ষাৎ না পাইলে প্রাণের আকাজক্ষ মিটে না । এই সদ্বস্তুর ইংরাজি প্রতিশব্দ নোমেনন— Noumenon zi Thing-in-itself zaffs İİİ5 feifzş etİ5İ 2 প্রতীচী উভয়ত্রই এই সৎপদার্থের বা খাটি জিনিষের অন্বেষণ ও দর্শন লাভই দর্শনশাস্ত্রের মুখ্য অধ্যবসায় । প্রত্যক্ষ জগৎ যে এই সদ্বস্তু নহে, তাহা প্রায় জ্ঞানিমাত্রেই সকলেই একবাক্যে স্বীকার কলিয়া লইয়াছেন । কিন্তু এই দৃশুমান মায়াপটের অন্তরালে, জড়জগতের একটা অনির্দেশু স্বরূপ—একটা সৎ-পদার্থ—যে নিশ্চয়ই বর্তমান আছে, ইহা অস্বীকার করিতে অনেকেরই জীবনগ্রন্থি যেন ছিড়িয়া যায়। একটা কিছু আছে, উহা অনির্দেশু-—স্পেন্সারের ভাষায় অজ্ঞেয়—Unknowable ;— সাংখ্যদর্শনের ভাষায় উহার নাম অব্যক্ত প্রকৃতি । এই অব্যক্ত অনির্দেশু অজ্ঞেয় প্রকৃতি, মানবচৈতন্তের—যাহার সাংখ্যদর্শনসম্মত নাম পুরুষ বা জ্ঞাত বা “জ্ঞ", তাহার—সম্মুখে আসিয়া ব্যক্ত পরিদৃশুমান অনুভূয়মান প্রকৃতির বা প্রত্যক্ষ জগতের মূৰ্ত্তি গ্রহণ করে ; কেন করে, তাহ কেহ জানে না, করে এই মাত্র,-করে বলিয়াই এই ‘স্বষ্টি ব্যাপার, করে বলিয়াই আমি, তুমি, তিনি,—মৎস্ত কুম্ভীর ও প্রোটোপ্লাজম,— গিলি নদীসম। কীর্ণ বসুন্ধরা ও নক্ষত্রখচিত নভোদেশ—এই বহিজগতের মায়াময় পট । • - এইরূপ দার্শনিক মতকে আমরা দ্বৈতবাদ বলিয়া বিবেচনা করিতে