পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৬ জিজ্ঞাসা করেন নাই। ঋষির শাপে দেবগণ লক্ষ্মী হারাইয়াছিলেন । সমুদ্র মন্থন করিয়া দেবগণ র্তাহার উদ্ধার করেন। লক্ষ্মী অমৃতভাও তাতে লইয়া উঠিয়াছিলেন। অমৃতের সহিত হলাহলও উঠিয়াছিল। বালডার মৃত্যুর পর কোথায় অবস্থান করিতেছেন । সহজে কি তিনি সেখান হষ্টতে ফিরিবেন ? যে যেখানে আছ, রোদন কর ; বনের পশু, গাছের পাখী, তরুলতা, যে যেখানে আছ, রোদন কর। মাটি ফাটিয়া শোক শুর উৎস উঠিতেছে ; বালডারের জন্য নিজাব শিলা দ্রবীভূত হইতেছে । যাহাদিগকে ভাল বাসিতাম, তাহার কোথায় আছে, কে জানে ? কোন আঁধার পুরে তাহারা বসতি করিতেছে ; আঁধারে কি তাহার পথ চিনিতে পারিবে ? হাতে হাতে মশাল ধর । ঘরে ঘরে আলে। জাল । আজি কাৰ্ত্তিকী অমাবাস্তা ; প্রিয়গণ গন্তব্য পথ চিনিতে পারিবে না ; দীপমালায় অন্ধকার বিনষ্ট কর । গঙ্গাস্রোতে দীপগুলি ছাড়িয়া দীও । স্রোতে তাহাদিগকে ভাসাইয় লইয়া যাক্ । প্রেতপুরুষগণ তাহা ধরিয়া লইবেন । ব্যোমবহ্নি উৰ্দ্ধমুখে ছাড়িয়া দাও যমলোক ত্যাগ করিয়া যাহারা মহালয়ে আসিয়াছেন, তাহারা উজ প্ৰজ্যোতি ব্যোমবহ্নির সাহায্যে পথ চিনিয়া লউন । শুধু শোক করিলে যে যায়, সে কি ফিরিয়া আসে । মৃত্যুর উপরে যে-রহস্তের আবরণ অাছে, তাহ উন্মোচন করিতে হইবে । সে বড় দুর্ভেদ্য রহস্য । বুদ্ধিকে প্রদীপ্ত করিতে হইবে ; তবে মরণতত্ত্ব জানিবে। যদি মরণতত্ত্ব জানিতে চাও, নিজে অমৃত পান কর । ঋষিগণ সোমপান করিয়া অমৃত লাভ করিয়াছিলেন । সোমলতা হইতে অমৃত নিষ্কাশন কর ; দ্রাক্ষালতা হইতে অমৃতরস বাহির কর । গোড়ী-পৈষ্টীও অভাবে চলিতে পারবে। অমৃতপানে অমরত্ব লাভ করবে, বুদ্ধি প্রদীপ্ত হইবে, আবরণ অপস্থত হইবে, রহস্তের উদ্ভেদ হইবে । ইহার নাম গুপ্ত