পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্থখ ন দুঃখ ? ২৫ কেননা, বিচারকেরা ও বিচারকালে আপন আপন প্রকৃতিগত চশম! চোখে না দিয়া থাকিতে পারেন না ; কাজেই কেহ বলেন, এদিকৃ ভারী, কেহ বলেন ওদিক্ । +. প্রথম পক্ষের প্রধান যুক্তি এক কথায় এই ;–জীবনে সুখ বেশী, জীবনের অস্তিত্বই তাহার প্রমাণ । জীবনে সুখ না থাকিলে, অর্থাৎ সুখের মাত্র অধিক না হইলে, মানুষ বাচিতে চাহিবে কেন ? মানুষ যে বঁচিতে চায়, —অবশু দুই চারিটা আত্মঘাতীকে বাদ দিয়া—ইহাই সুখের মাত্রাধিক্য প্রমাণ করিতেছে । দুঃখের ভাগ বেশী হইলে, দডি কলসী যোগান এতদিন "বিরাট’ ব্যাপার হইত ; সংসার এতদিন জীবহীন মরুভূমিতে পরিণত হইত। আধিব্যাধি, মরণযাতনা, নৈরাশ্বের দীর্ঘশ্বাস, ধৰ্ম্মের নিপীড়ন, নিরহের পেষণ, তাহার উপর মুখোসূপরা ধৰ্ম্মের জয়জয়কার ও প্রণয়ে কৃত্রিমতা, এসব নাই এমন নহে ; তবে স্নেহ, দয়া, ভক্তি, মমতা, সারল্য, প্রেম ইহারাও আকাশকুসুম বা ভাষার কল্পিত অলঙ্কার নহে । এই সকলও জগতে বর্তমান আছে, এবং ইহাদের পরিমাণ সৰ্ব্বতোভাবে অধিক বলিয়াই মানুষ তাহারনিদ্র সম্বন্ধে ভালরূপ বন্দোবস্তে আজিও নিতরাং ব্যাপৃত ; নতুবা অভিব্যক্তি, অন্ততঃ মানুষের অভিব্যক্তি ব্যাপারটা এতদিন লোপ পাইতু, এবং ডারুইন সাহেবকেও অভি-; ব্যক্তিবাদের সমর্থনের জন্ত প্রয়াস ও অবকাশ পাইতে হইত না । মোটের উপর মনুষ্যজাতির অস্তিত্ব এবং সেই অস্তিত্বরক্ষণার্থ প্রয়াসই বিরুদ্ধবাদীদের বিপক্ষে যথেষ্ট উত্তর । আজিকালি যাহারা নীতিশাস্ত্র নূতন বিজ্ঞানের ভিত্তিতে স্থাপিত। করিয়া গঠিত করিতে চেষ্টা পাইতেছেন, তাহীদের অনেকেই এই সম্প্রদায়ভুক্ত ৷ ইহঁার দুঃখের অস্তিত্ব অস্বীকার করিতে পারেন না ;– কেন না, দুঃখের ক্ষয়সাধন ও সুখের বদ্ধনই অভিব্যক্তির মৰ্ম্ম ও উদ্দেশু ;