পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ So I দেখিতে পাই । ইহা বোধ হয় অত্যধিক বিজ্ঞান আলোচনার ফল । আপনার প্রতিভায় ইয়ুরোপীয় বিজ্ঞান ও ভারতীয় অধ্যাত্মবিদ্যা সম্মিলিত হইলে মণিকাঞ্চন সংযোগ হয়। এই সংযোগ দেখিবার জঙ্গ আমার হৃদয় লালায়িত । ইতি । সময় ৩০এ মাঘ, ১৩০৪ সাল প্রকৃতি —এখান বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধকুমুমের একটি মুনীর গুচ্ছ । গুচ্ছকার মালী বিজ্ঞান-শৈলে আরোহণ করিয়া তজ্জাত বৃক্ষরাজির পুষ্প চয়ন করত: এই পুষ্পগুচ্ছ সাধারণের সমক্ষে উপস্থিত করিয়াছেন । যোগ্য হইলেই যোগ্যতা প্রকাশ হইয়া পড়া অস্বাভাবিক নহে । এই পুষ্পগুচ্ছের সংগ্রহ ও সমাবেশে মালীর যোগ্যতা প্রকাশ হইয়াছে, এবং মালী যে একজন উত্তম কারিকর, তাহাও ইহার রচনা চাতুৰ্য্যে উপলব্ধি হয় । স্থল বুদ্ধির লোকের বিশ্বাস, বিজ্ঞান নিতান্ত নীরস ; কিন্তু বিজ্ঞানামোদী লোকে বিজ্ঞানে কত রস পান, তাহ অন্যে কি প্রকারে জানিবে ? আমাদের বিশ্বাস যাহারা বিজ্ঞান চর্চার দ্বারা বিজ্ঞানের স্বরূপ পরিজ্ঞাত নহেন, তাহার রামেন্দ্র বাবুর “প্রকৃতি” পাঠ করিয়া বুঝতে পারিবেন, বিজ্ঞান সরস কি নীরস, বিজ্ঞান মিষ্ট কি তিক্ত, বিজ্ঞান সম্বন্ধীয় গ্রন্থ নভেল নাটক অপেক্ষ কতগুণ অধিক আমোদ প্রদ ও "Jiবাহক । বঙ্গীয়-সাহিত্য ভাণ্ডারে প্রকৃতির ন্তায় প্রকৃতিবিশিষ্ট পুস্ত । অতি আদরের সন্দেহ নাই । ‘প্রকৃতি” মধ্যে এক স্থলে রামেন্দ্র বাবু দুঃখ প্রকাশকরিয়া বলিয়াছেন যে, “দীন বঙ্গভাষা ও দীন বঙ্গ-সাহিত্য ; অন্ত দেশে যাহা সম্পাদিত হইয়াছে, এদেশে তাহার বর্ণনারও উপায় নাই ।” যে অভাব অনুভব করিয়া রামেন্দ্র বাবু এই আক্ষেপ করিয়াছেন, সে অভাব মোচন করি করিলে আমরা মুখী হইব। তিনি -