২৬ জিজ্ঞাসা ঃখ না থাকিলে অভিব্যক্তি ঘটিত না, সুতরাং দুঃখ আছে বৈ কি। নিরবচ্ছিন্ন সুখলাভই মনুষ্যজীবনের চরম উদ্দেশু, এবং জীবনের প্রবাহ সেই মুখেই চলিতেছে বলিয়া সামাজিক উন্নতি। যাহা ঃখপ্রদ বা মোটের উপর দুঃখপ্রদ, তাহাঁই অধৰ্ম্ম । ধৰ্ম্মধৰ্ম্মের এইরূপ সংজ্ঞা শুনিয়া প্রথমে ভয় জন্মিতে পারে, কিন্তু “মুখ’শব্দটার প্রতি যথেচ্ছ পরিমাণে আধ্যাত্মিক ভাবের উচু অর্থ প্রয়োগ করিয়া আশ্বস্ত হওয়া যাইতে পারে। সুখ শব্দে কেবলই যে নিম্ন পর্যায়ের ঐন্দ্রিয়িক সুখই বুঝিতে হইবে, এমন অাইন নাই । সুখ কি ? না যাহাতে জীবন বৰ্দ্ধন করে ; এবং জীবনবদ্ধনের ন্যায় মহান উদেণ্ড প্রকৃতির নিকট আর কি আছে ? এইরূপে সুখ শব্দটার ব্যাখ্যা করিলে ভয়ের আশঙ্ক বড় থাকে না । যাহা হউক, মনুষ্যজীবনের ও মনুষ্যসমাজের উন্নতি হইতেছে যদি ধরা যায়, তবে মুখের মাত্রা ও উৎকর্ষ ক্রমেই বাড়িতেছে ; কখনও পূর্ণ না হইতে পারে, কিন্তু গতি পূর্ণতার দিকে ; এবং সৰ্ব্বক্ষণেই তদানীন্তন দুঃখের মাত্র অপেক্ষ তদানীন্তন সুখের মাত্র অধিক ; নহিলে লোকে জীবনবৰ্দ্ধনের প্রয়াস না পাইয়া জীবনলোপের প্রয়াস পাছত । ধৰ্ম্মনীতি উলট৷ ইয়া যাইত । স্নেহমমত পাপের পর্য্যায়ে ও চুরিডাকাতি ধৰ্ম্মের পর্য্যায়ে স্থান পাইত । যখন তাহা হয় নাই, তখন অবশুই মানুষ মোটের উপর মূখী । ডারইনের লিখিত পুথি কয়খানা জগতের দৃশুপটটাকে অনেকটা বদলাইয়া দিয়াছে। পূৰ্ব্বে যেখানে শাস্তি, প্রতি ও মাধু দেখা যাইত, এখন সেখানে কেবল হিংসা, , স্বার্থ, শোণিততুষা ও নিষ্ঠুর দ্বন্দ্ব দেখা যাইতেছে । পঞ্চাশ বৎসর পূৰ্ব্বে যেটাকে ঋষিদের তপোবনের মত "-1স্থ: সম্পাদ' বোধ হইত, এখন নাদির সাহের অনুগৃহীত দিল্লী তাহার কাছে হারি মানে । কি ভয়ঙ্কর দৃষ্টিভ্ৰম ! এই নিৰ্ম্মম দ্বন্দ্ব আবার মনুষ্যসমাজের ও উন্নতির অনেকটা মূল,
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩৫
অবয়ব