পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুখ না দুঃখ ? ২৭ একথা বলিতে গিয়া অনেকে গালি খাইয়াছেন, এবং গালি অঙ্কের অভিনয় এখনও যে শীঘ্ৰ থামিবে এরূপ ভরসা বড়ই অল্প । কিন্তু যাহার জগতের এই বিভীষিকাময় চিত্র দেখান, র্তাহার। অথবা র্তাহীদের চেলারাই আবার জীবনের সুখময়ত্ব প্রতিপন্ন করিতে চাহেন, ইহাই বিস্ময়কর। উপরে যে নুতন নীতিশাস্ত্রের উল্লেখ করিয়াছ, হবার্ট স্পেন্সর ইহার প্রধান প্রচারক ; এবং হবার্ট স্পেন্সর ডারুইনতত্ত্বের একজন “পাও” । ডারুইনের প্রদর্শিত চিত্র দেখিলে জীবনের সুখময়ত্বে বিশ্বাস করা বড়ই অসংসাহসিক ব্যাপার হয় ; কেন না, হিংসা ও রক্তপা তই যেখানে উন্নতির প্রধান উপায়, সেখানে আবার সুখ কি ? ঘাতকের কিয়ৎপরিমাণে আপন মনের মত মুখ বা তৃপ্তি জন্মিতে পারে। কিন্তু সে ও ক্ষণিকমাত্র ; কেন না, জঠরজালীরূপ সদাতন মহাদুঃখনিবারণের জন্তাই এই হত্যাব্যবসায় ; এবং আহারসম্পাদনের পরক্ষণেই আবার জঠরজালার পুনরাবির্ভাব । আর যে হন্তমান, তাহার যে পরোপকারবৃত্তি সে সময়ে বিশেষ প্রবল হয়, এবং তজ্জন্ত সে পরমানন্দ উপভোগ করিতে থাকে, তাহারও প্রমাণাভাব । যাহাই হউক, ডারুইনউত্ত্বের অন্ততর প্রচারক স্বপ্রসিদ্ধ আলফ্রেড ওয়ালাস্ ইহার ও উত্তর দিতে প্রয়াস পাইয়াছেন । ওয়ুলাস এ হেন ভীষণ ক্ষেত্রেও ক্লেশের অস্তিত্ব একেবারে লোপ করিতে চাহেন । জীবজগতে রক্তপাত আছে, হিংস আছে, কিন্তু ক্লেশ নাই । হত্যাকার্য্যের দর্শক যেমন ভয় পান, যাহার উপর কার্য্যটা নম্পন্ন হইতেছে, সে ততটা ভয় পায় না । দয়াশীলা প্রকৃতির এমনই সুচারু নিয়ম যে, হন্তমান জীবের অনুভূতির তীব্রতা থাকে না, এমন কি, বোধশক্তি হয়ত হননকালে লোপ পায় । প্রেইরি দেখা, শুনা বা কল্পনা ভয়ানক ; কিন্তু প্রহার খাইতে কোন কষ্ট নাই। সকলে পরীক্ষা করিতে সন্মত হইবেন