পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 * জিজ্ঞাসা শিখাতেই থাকৃ ; এই পর্যন্ত বুঝা যায় । এবং রঙদার পুষ্পবিশেষের নিকট গেলে মধুসঞ্চয়টাও ঘটিয়া থাকে, এই পর্য্যন্ত অভিজ্ঞতার জন্ত প্রজাপতিকে বাহাদুর দিতে পারি । পুষ্পদেহে আর প্রজাপতিদে:ঙ্গ বর্ণবৈচিত্র্য বিকাশের ব্যাখ্যার জন্ত ইহার বেশীও আবশুক নহে । কিন্তু এইরূপ বর্ণবৈচিত্র্যের সমাবেশ মানুষের চোখে কুৎসিত না লাগিয়া সুন্দর লাগে কেন, এ কথার উত্তর পাওয়া গেল না ! আর একটা কথা আছে -যৌন নিৰ্ব্বাচন । ডারইন এই মতের ৭ প্ৰবৰ্ত্তক । সিংহের কেশর, পাখীর কাকলী, ময়ূরের পুচ্ছ, এ সমস্তই সুন্দর ; এবং ডারুইনের মতে এ সমস্তই বোন নিৰ্ব্বাচনে অভিব্যক্ত । স্ত্রীজাতি সুন্দর পুরুষ বাছিয়া লয় ; ফলে বংশপরম্পরায় সৌন্দর্ঘ্যের বিকাশ হয় । পারাবত যখন তাঙ্গর বিস্ফারিত নীলকণ্ঠ তানম উন্নম করিয়া, চারুপুচ্ছ নৰ্ত্তিত করিয়া, কান্তাধবনিতের অনুকরণ করিয়া, পীরাবতীর নিকট নাচিতে থাকে, তখন সে জানে না যে, সে প্রকৃতির নিয়োগে সৌন্দৰ্য্য-স্বষ্টিতে নিযুক্ত হইয়াছে । যৌন নিৰ্ব্বাচন মানিয়া লষ্টলে জীবদেহে সৌন্দর্য্যের উদ্ভব অনেকটা বুঝা যায় । কিন্তু যৌন নিৰ্ব্বাচন সকলে মানিতে চাহেন না ; সম্প্রতি ওয়ালাস সা হবই যৌন নিৰ্ব্বাচনের বিরুদ্ধে দাড়াইয়াছেন । তিনি প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনের বলেই এ সমুদয়ের উদ্ভব বুঝাইতে চাহেন। সুতরাং ডারইনের মত এখনও দ্বিধাহীনচিত্তে গ্রহণ করিতে সাহস হয় না। গ্রহণ করি, মূল কথার ব্যাখ্য' হইল না । ময়ুর পুচ্ছ বিস্তার করিয়া ময়ুরীর নিকট বাহবা লইতে পাবে ; কিন্তু মানুষের তাহাতে- কি আসে যায় ? মানুষের চোখে ময়ূরপুচ্ছ সুন্দর লাগে কেন ? ময়ুরপুচ্ছের উজ্জল বর্ণসমবায়ে এমন কি মাঙ্গাত্মা আছে যে, মানুষের তদর্শনে এত তৃপ্তি জন্মে ? মনোবিজ্ঞান সাহায্যে এইরূপে সৌন্দর্য্যতত্ত্ব বুঝিবার চেষ্টা করা যাইতে পারে। অনুভূতির বৈচিত্র্যপরম্পর লইয়া চৈতন্ত বা চিৎপ্রবাহ ।