পাতা:জীবনচরিত.djvu/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৮
জীবনচরিত।

আহ্লাদে বিরালকৃত ক্ষতক্লেশ একবার মনেও করিলেন না।

 ডুবাল বন্যজন্তুর উদ্দেশে সর্ব্বদাই এইরূপ সঙ্কটে প্রবৃত্ত হইতেন এবং লুনিবিলে গিয়া সেই সেই পশুর চর্ম্ম বিক্রয় দ্বারা অর্থ সংগ্রহ করিয়া পুস্তক ও ভূচিত্র ক্রয় করিয়া আনিতেন।

 পরিশেষে এক শুভ ঘটনা হওয়াতে অনেক পুস্তক সংগ্রহ করিতে পারিলেন। এক দিবস শরৎকালে অরণ্য মধ্যে ভ্রমণ করিতে করতে সম্মুখবর্তী শুষ্ক পর্ণরাশিতে আঘাত করিবামাত্র ভূতলে কোন উজ্জ্বল বস্তু অবলোকন করিলেন এবং তৎক্ষণাৎ হস্তে লইয়া দেখিলেন উহা স্বর্ণময় মুদ্রা, উহাতে উত্তমরূপে তিনটি মুখ উৎকীর্ণ আছে। ডুবাল ইচ্ছা করিলেই ঐ স্বর্ণময় মুদ্রা আত্মসাৎ করিতে পারিতেন। কিন্তু তিনি পরের দ্রব্য অপহরণ করা গৰ্হিত ও অধর্ম্মহেতু বলিয়া জানিতেন অতএব পর রবিবারে লুনিবিলে গিয়া তত্রত ধর্ম্মাধ্যক্ষের নিকট নিবেদন করিলেন মহাশয়! অরণ্য মধ্যে আমি এক স্বর্ণ মুদ্রা পাইয়াছি। আপনি এই ধর্ম্মালয়ে ঘোষণা করিয়া দেন যে ব্যক্তির হারাইয়াছে তিনি সেণ্ট এনের আশ্রমে গিয়া আমার নিকটে আবেদন করিলেই আপন বস্তু প্রাপ্ত হইবেন।

 কয়েক সপ্তাহের পর ইংলণ্ড দেশীয় ফরষ্টর নামে এক ব্যক্তি অশ্বারোহণে সেণ্ট এনের আশ্রমদ্বারে উপ-