পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সারীর হৃদয় – প্রেম—শিশু-গহ—নয় সবখানি ; অথ নয়, কীতি নয়, সচ্ছলতা নয়— আরো এক বিপন্ন বিস্ময় -আমাদের অন্তগত রক্তের ভিতরে খেলা করে ; আমাদের কান্ত করে ক্লান্ত—কান্ত করে ; লাশকাটা ঘরে সেই ক্লাহিত নাই ; তাই লাশকাটা ঘরে চিৎ হয়ে শয়ে আছে টেবিলের পরে । তব রোজ রাতে আমি চেয়ে দেখি, আহা, থরথরে অন্ধ প্যাঁচা অশবথের ডালে বসে এসে, চোখ পাল টায়ে কয় ঃ বুড়ি চ"াদ গেছে বুঝি বেনোজলে ভেসে ? চমৎকার ! * ধরা যাক দল’-একটা ই’দর এবার—’ হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার ? আমিও তোমার মতো বড়ো হবো—বুড়ি চ"াদটারে আমি ক’রে দেবো কালীদহে বেনোজলে পার ; আমরা দু'জনে মিলে শান্য ক’রে চলে যাবো জীবনের প্রচুর ভাড়ার । শীতরাত এই সব শীতের রাতে আমার হৃদয়ে মৃত্যু আসে ; বাইরে হয়তো শিশির ঝরছে, কিংবা পাতা, কিংবা প্য"াচার গান ; সেও শিশিরের মতো, হলুদ পাতার মতো । শহর ও গ্রামের দরে মোহনায় সিংহের হংকার শোনা যাচ্ছে— সাকাসের ব্যথিত সিংহের এদিকে কোকিল ডাকছে—পউষের মধ্য রাতে ; কোন একদিন বসন্ত আসবে ব’লে ? কোনো-একদিন বসন্ত ছিলো, তারই পিপাসিত প্রচার ? তুমি স্থবির কোকিল নও ? কত কোকিলকে স্থবির হয়ে যেতে দেখেছি, তারা কিশোর নয়, কিশোরী নয় আর ; কোকিলের গান ব্যবহৃত হয়ে গেছে। . ఏSO