পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথিবীর অলিগলি বেয়ে আমি কত দিন চলিলাম। ঘমালাম অন্ধকারে যখন বালিশে ঃ নোনা ধরে নাকো যেই দেওয়ালের ধসের পালিশে চন্দ্রমল্লিকার বন দেখিলাম রহিয়াছে জ্যোৎস্নায় মিশে । যেই সব বালিহাঁস ম’রে গেছে পথিবীতে শিকারির গুলির আঘাতে ঃ বিবণ গম্বুজে এসে জড়ো হয় আকাশের চেয়ে বড়ো রাতে ; প্রেমের খাবার নিয়ে ডাকিলাম তারে আমি তবুও সে নামিল না হাতে । পথিবীর বেদনার মতো মান দড়িালাম ঃ হাতে মত সমযের শিখা ; প্রেমের খাবার হাতে ডাকিলাম ; অঘ্রানের মাঠের মাত্তিকা হ’য়ে গেলে ; নাই জ্যোৎসনা – নাই কো মল্লিকা ! সেই সব পাখি আর ফুল ঃ পথিবীর সেই সব মধ্যস্থতা আমার ও সৌন্দয্যের শরীরের সাথে ম্যমির মতনও আজ কোনোদিকে নেই অার ; সেই সব শীর্ণ দীঘ মোমবাতি ফুরায়েছে আছে শুধু চিন্তার অাভার ব্যবহার । সন্ধ্যা না-আসিতে তাই হৃদয় প্রবেশ করে প্যাগোডার ছায়ার ভিতরে অনেক ধন্সর বই নিয়ে। চেয়ে দেখি কোনো-এক আননের গভীর উদয় ঃ সে-আনন পথিবীর নয় । দল চোখ নিমীল তার কিসের সন্ধানে ? “সোনা—নারী—তিশি—আর ধানে”— বলিল সে ঃ "কেবল মাটির জন্ম হয় ।” বলিলাম ঃ “তুমিও তো পথিবীর নারী, কেমন কুৎসিত যেন,—প্যাগোডার অন্ধকার ছাড়ি শাদা মেঘ-খরশান বাহিরে নদীর পারে দাঁড়াবেকি ? "শানিত নিজন নদী’--বলিল সে—“তোমারি হৃদয়, ››ዊ