পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বে নক্ষত্রেরা আকাশের বকে হাজার-হাজার বছর আগে ম'রে গিয়েছে তারাও কাল জানালার ভিতর দিয়ে অসংখ্য মত আকাশ সঙ্গে করে এনেছে ; যে রংপসাঁদের আমি এশিরিয়ায়, মিশরে, বিদিশায় মরে যেতে দেখেছি কাল তারা অতিদারে আকাশের সীমানার কুয়াশায় কুয়াশায় দীঘ বশ হাতে ক’রে কাতারে কাতারে দাঁড়িয়ে গেছে যেন— মৃত্যুকে দলিত করবার জন্য ? জীবনের গভীর জয় প্রকাশ করবার জন্য ? প্রেমের ভয়াবহ গভীর স্তম্ভ তুলবার জন্য ? आफुष्प्ले-अउिछूठ शझ tशछि आभि, কাল রাতের প্রবল নীল অত্যাচার আমাকে ছিড়ে ফেলেছে যেন ; আকাশের বিরামহীন বিস্তীণ ডানার ভিতর পথিবী কীটের মতো মছে গিয়েছে কাল ! আর উত্তঙ্গ বাতাস এসেছে আকাশের বািক থেকে নেমে আমার জানালার ভিতর দিয়ে, শাই শইি করে, হিংহের হঙ্কোরে উৎক্ষিপ্ত হরিৎ প্রান্তরের অজস্র জেরার মতো । হৃদয় ভরে গিয়েছে আমার ৰিস্তীণ ফেটের সবুজ ঘাসের গন্ধে দিগন্ত-প্লাবিত বলীয়ান রৌদ্রের আঘ্ৰাণে • মিলনোন্মত্ত বাঘিনীর গজনের মতো অন্ধকারের চঞ্চল বিরাট সজীব রোমশ উচ্ছাসে, জীবনের দদন্তি নীল মত্ততায় ! আমার হৃদয় পথিবী ছিড়ে উড়ে গেল, নীল হাওয়ার সমুদ্রে সফীত মাতাল বেলনের মতো গেল উড়ে ; একটা দীর নক্ষত্রের মাসতুলকে তারায়-তারায় উড়িয়ে নিয়ে চললো একটা দুরন্ত শকুনের মতো । ख्यांभि यक्षि इङांय আমি যদি হতাম বনহংস ; বনহংসী হতে যদি তুমি ; কোনো এক দিগন্তের জলসিড়ি নদীর ধারে ধানক্ষেতের কাছে ছিপছিপে শরের ভিতর এক নিরালা নীড়ে ; তাহলে আজ এই কাগনের রাতে ঝাউয়ের শাখার পেছনে চাঁদ উঠতে দেখে আমরা নিম্নভূমির জলের গন্ধ ছেড়ে আকাশের রপোলি শস্যের ভিতর গা ভাসিয়ে দিতাম— তোমার পাখনার আমার পালক, আমার পাখায় তোমার রক্তের পন্দন— S३