পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্য-কোনো দাশনিক মত-বিপ্লব ; জেনে তব মুখ অার রুপসীর ভয়াবহ সংগম এড়ায়ে স্থির হয়ে রবে নাকি সন্ততিরা, সন্ততির সন্ততিরা সব ? যদি তারা টেশে যায় করাল কালের স্রোতে ধরা প’ড়ে গিয়ে, যদি এই অন্ধকার প্রাসাদের ভগ্ন-অবশেষে শেয়াল প“্যাচার দিকে চেয়ে কে’দে যায়,— তখন স্বপ্নই সত্য ; গিয়েছে বস্তুর থেকে ফে"শে জীবনের বাস্তবতা সে-সময় । মানুষের শেষ বংশ লোপ পেলে কে ফিরায়ে দেবে জীবনের বাস্তবতা ?—এমন অদ্ভুত স্বপ্ন নিয়ে মাঝে-মাঝে গিয়েছি নাগাড় কথা ভেবে । দুই সময় কীটের মতো কুরে খায় আমাদের দেশ । আমাদের সন্তানেরা একদিন জ্যেষ্ঠ হ’য়ে যাবে ; সবতসিদ্ধতায় গিয়ে জীবনের ভিতরে দাঁড়াবে ; এ-রকম ভাবনার কিছু অবলেশ তাদের হৃদয়ে অাছে হয়তো-বা ;–মাঠে-ময়দানে কথা ব’লে জীবনের বিষ তারা ঝেড়ে ফেলে দিতে চায় আজ ; অপোয় হিমের দিন ততোধিক মিহিন কামিজে কাটাইতেছে যেন অগণন গিরেবাজ । সমুদ্রের রৌদ্র থেকে আমাদের দেশে । নীলাভ ঢেউয়ের মতো দীপ্তি নেমে আসে মনে হয় ; আমাদের পিতামহ পিতারাও প্রবাহের মতো জেনে গেছে ; আমাদেরও ততদরে ভাববিনিময় একদিন ছিলো,– তব শোচনীয় কালের বিপাকে হারায়ে ফেলেছি সেই সান্দ্র বিশ্ববাস । কার সাথে অন্ধকার মাটিতে ঘুমায়ে, কার সাথে ভোরবেলা জেগে—বারো মাস তাকেও সমরণ ক’রে চিনে নিতে হয় সে কি কাল ? সে জীবন ? জ্ঞাতিভ্রাতা ? গণিকা ই গহিনী ; মানুষের বংশ এসে সময়ের কিনারে থেমেছে, একদিন চেনা ছিলো ব’লে আজ ইহাদের চিনি ১২২