পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অাজ এই রজনীর অবরোধ মনে হয় তাহাদের জ্যোতি যেন বিস্ফোরক বাপ হয়ে জন্বলে সহসা আকাশপথে দিকহস্তিদের মতো,—অদ্ভূত—অভীষ্ণু মদকলে ; কোনো আমলকী নাই আজ আর শিল্পীর নিজন করতলে । এখানে দাঁড়ায়ে থেকে ন্যাজ ছবি চোখে পড়ে পথিবীর ঃ বিবণ পাথরে-গড়া প্রান্তরের পীঠে এক ধর্মমন্দিরের ; আশি বছরের বড়ো শীতের কুয়াশা ঠেলে সেই দিকে চলিয়াছে একা ঃ হয়তো বাজাবে ঘণ্টা, হয়তো সে সারাৎসার বিধাতাকে কাছে পাবে ঃ আমরা যেমন ক’রে পাই মাত্তিকাকে, মৃত্যুকে । পীবর মাটির মতো নিকাশিত হ’য়ে যেন পথিবীর জরায়র থেকে মাঠের কিনারে ব’সে শৰক পাতা পোড়াতেছে কয়েকটি নিমর্নল সন্তান ; জরা খাদ্য চায় ; তবুও অভুক্ত পেটে তরবার হাতে নেবে যোদ্ধার মতন নয় ; নকল সৈন্যের যত কলরবে পাঁচালির দেশে । কৌতুকে গোলার সব মত—পরাহত—ধান থেকে মেড়ে যদি কেউ অন্যতম আলেয়ার রস এনে দিয়ে যেতো তাহাদের । কেউ দেবে নাকো আজ এই তুণ্ডসমীচীন পথিবীতে । মাথার উপর দিয়ে অনেক সন্ধ্যার কাক প্রথম ইশারা নিয়ে উড়ে যায় আবিভূতি গম্বুজের দিকে । সেই পথে আমাদের যাত্রা নেই, হে সন্তান । বত্তের মত সয-পশ্চিমের— মত প্রলম্বিত –হাঙরের মতো— মেঘের ওপার থেকে প্রতিভার দীঘ বাহ বাড়ায়ে দিয়েছে মেঠো হাঁসের ডানায়, শস্যহীন খেতে, গফুরের শীণ গোলাঘরে, শ্মশানে, কবরে, অামাদের সবের হৃদয়ে । এই প্রত্যয়ের থেকে গভীর অগ্নির জন্ম হয় । खेप्नम्नलुि সযের উদয় সহসা সমস্ত নদী চমকিত ক’রে ফেলে—অকস্মাৎ দেখা দিয়ে— চলে যায় ;–হাড়ের ভিতরে মেঘেদের । অন্ধকার ;–স্তম্ভিত বন্ধর মতো ভোর এইখানে সাধন রাত্রির হাত ধ’রে তাকে শ্রেয়তর চালানির মzল জেনে নিখিলের ;—মত মাংসের স্তুপ চারিদিকে ; তার মাঝে ধন্বন্তরি, কালনেমি কিছল চায় ঃ ১২৭