পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলিন মতের হাড়, বিদুষক, তরবার, আর যে-বলদ তার ফলার খেয়েছে ঘানিগাছে । আলোর ভিতর দিয়ে হে"টে চলে যাবার কৌশল কেবলই আয়ত্ত ক’রে নিতে চায় পৃথিবীর উৎকণ্ঠিত ভিড় । সৈকতে পাখিদের বরফের মতো শাদা ডানা সমযে়র পাকস্থলীর । জানো মা কী চমৎকার । বলিল মতের হাড়, বিদুষক, তরবার আর যে-বলদ তার ফলার খেয়েছে ঘানিগাছে । কেবলই পায়ের নিচে বালির ভিতরে উঠে আসে পারাপার-প্রত্যাখ্যাত হাড় ; কালো দস্তানায় যেন সমাপতি, অব্যক্ত হাত— তাদের দেখায় কিমাকার । গম্ভীর নিপট মৃতি সমুদ্রের পারে এখানে দাঁড়ায়ে আছে । সুষের অালোয় সব উদ্ভাসিত পাখি আসে তার কাছে । জানো না কী চমৎকার । বলিল মতের হাড়, বিদুষক, তরবার, আর যে-বলদ তার জড়িকে দেখেছে ঘানিগাছে । দোয়েল একটি নীরব লোক মাঠের উপর দিয়ে চুপে ঈষৎ সহবিরভাবে হাঁটে । লাঙল ও বলদের একগাল স্থির ছায়া খেয়ে জাহার হেমন্তকাল দুই পায়ে ভর দিয়ে কাটে । নিজের জলের কাছে ভাগীরথী পরমাত্মীয় । চেয়েও পায় না তাকে কেউ তার সহিষ্ণ নিভৃতে । লাশকাটা ঘরের ছাদের পরে একটি দোয়েল পথিবীর শেষ অপরাহের শীতে শিশ্য ভুলে বিভোর হয়েছে । কার লাশ ? কেটেছিলো কারা ? সারা পৃথিবীতে আজ রক্ত ঝরে কেন ? সে-সব কোরাসে একতারা । ృరిరి