পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ-সব শান্যতা ছাড়া কোনো দিকে আজ কিছু নেই সময়ের তীরে । তব ব্যথ মানয়ের গ্রানি ভুল চিন্তা সংকল্পের অবিরল মরুভূমি ঘিরে বিচিত্র বক্ষের শব্দে স্নিগধ এক দেশ এ-পথিবী, এই প্রেম, জ্ঞান, আর হৃদয়ের এই নিদেশ । পুনশ্চ আদি লিখন সিন্ধুলারস দ-এক মহতে শুধ রৌদ্রের সিন্ধর কোলে তুমি আর আমি সে সিন্ধসারস ! মালাবার পাহাড়ের কোল ছেড়ে অতি দীর তরঙ্গের জানালায় নামি নাচিতেছে টারানটেলা—রহস্যের ; আমি এই সমদ্রের পারে চুপে থামি চেয়ে দেখি বরফের মতো শাদা ডানা দুটি আকাশের গায় ধবল ফেনার মতো নেচে উঠে পথিবীরে আনন্দ জানায় । মছে যায় পাহাড়ের শিঙে-শিঙে গাধিনীর অন্ধকার গান হে সিন্ধসারস, আবার ফুরায় রাত্রি, হতাশ্ববাস ;–আবার তোমার গান করিছে নিমণি নতুন সমুদ্র এক, শাদা রৌদ্র, সবুজ ঘাসের মতো প্রাণ পৃথিবীর ক্লান্ত বুকে ; আবার তোমার গান শৈলের গহবর থেকে অন্ধকার তরঙ্গেরে করিছে আহবান । জানো কি অনেক যুগ চ’লে গেছে ? ম’রে গেছে অনেক নাপতি ? হে সিন্ধসারস, অনেক সোনার ধান ঝ’রে গেছে জানো না কি ? অনেক গহন ক্ষতি আমাদের ক্লান্ত ক’রে দিয়ে গেছে,—হারায়েছি আনন্দের গতি ইচ্ছা, চিন্তা, স্বপ্ন, ব্যথা, ভবিষ্যৎ, বত মান,—এই বতমান হৃদয়ে বিরস গান গাহিতেছে আমাদের—বেদনার আমরা সন্তান ? জানি না কি ওগো পাখি, শাদা পাখি, ওগো নীল মালাবার ফেনার সন্তান ? হে সিন্ধাসায়স, তুমি পিছে চাহো নাকো, তোমার অতীত নাই, সমতি নাই, বকে নাই আকীর্ণ ধন্সর পাণ্ডুলিপি ; পথিবীর পাখিদের মতো নাই শাঁত রাতে ব্যথা আর কুয়াশার ঘর । যে-রক্ত ঝরেছে তারে সবপেন বেধে কলপনার নিঃসঙ্গ প্রভাত రిషి