পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চ'লে গেছে – মশানের পারে বুঝি ; সন্ধ্যা অাসে সহসা কখন ; সজিনার ডালে পেচা কাঁদে নিম—নিম—নিম কাতিকের চাঁদে । অশ্বথে সন্ধ্যার হাওয়া যখন লেগেছে নীল ৰাংলার বলে আশবখে সন্ধ্যার হাওয়া যখন লেগেছে নীল বাংলার বনে মাঠে মাঠে ফিরি একা ঃ মনে হয় বাংলার জীবনে সৎকট শেষ হ’য়ে গেছে আজ ; – চেয়ে দ্যাথো কত কত শতাবদীর বট হাজার সবুজ পাতা লাল ফল বুকে ল’য়ে শাখার ব্যজনে আকাঙ্ক্ষার গান গায়—অশবথেরো কি যেন কামনা জাগে মনে ৪ সতীর শীতল শব বহুদিন কোলে ল’য়ে যেন অকপট উমার প্রেমের গল্প পেয়েছে সে,–চন্দ্রশেখরের মতো তার জট উন্জবল হতেছে তাই সপ্তমীর চাঁদে আজ পুনরাগমনে ; মধুকুপা ঘাস-ছাওয়া ধলেশ্ববরটির পারে গৌরী বাংলার এবার বল্লাল সেন আসিবে না জানি আমি- রায়গুণাকর আসিবে না—দেশবন্ধ আসিয়াছে খরধার পদ্মায় এবার, কালিদহে ক্লান্ত গাংশালিখের ভিড়ে যেন আসিয়াছে ঝড়, জাসিয়াছে চণ্ডীদাস—রামপ্রসাদের শ্যামা সাথে সাথে তার ; শঙ্খমালা, চন্দ্রমালা ; মত শত কিশোরীর কঙ্কণের সবর । দেশবন্ধ : ১৩২৬-১৩৩২-এর স্মরণে ভিজে হয়ে আসে মেঘে এ-দুপুর—চিল একা নদীটির পাশে ভিজে হয়ে আসে মেঘে এ-দর্পরে—চিল একা নদীটির পাশে জারুল গাছের ডালে বসে ব’সে চেয়ে থাকে ওপারের দিকে ; পায়রা গিয়েছে উড়ে চবতরে, খোপে তার ;–শসালতাটিকে ছেড়ে গেছে মৌমাছি ;—কালো মেঘ জমিয়াছে মাঘের আকাশে, মরা প্রজাপতিটির পাখার নরম রেণ ফেলে দিয়ে ঘাসে পি‘পড়েরা চলে যায় ;—দুই দণ্ড আম গাছে শালিখে শালিখে ঝুটোপটি, কোলাহল—বউকথাকও অার রাঙা বউটকে ডাকে নাকো—হলদে পাখনা তার কোন যেন কাঁঠালে পলাশে হারায়েছে ; বউও উঠানে নাই – পড়ে আছে একখানা ঢেকি ঃ ধান কে কুটিবে বলো—কতো দিন সে তো আর কোটে নাকো ধান, রোদেও শুকাতে সে যে আসে নাকো চুল তার – করে নাকে সনান এ পুকুরে—ভাঁড়ারে ধানের বীজ কলায়ে গিয়েছে তার দেখি, তবুও সে আসে নাকো ; আজ এ-দপুরে এসে খই ভাজিবে কি ? হে চিল, সোনালি চিল, ব্লাঙা রাজকন্যা আর পাবে না কি প্রাণ ? S&షి