পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

য়ছি ; বনে বনে ডালপালা উড়িতেছে—যেন পরী জিন কয় ; ধসের সন্ধ্যায় আমি ইহাদের শরীরের পর ধানের মতো দেখিয়াছি ঝরে ঝর ঝর রুটা মাঘের বটি,—শাদা ধলো জলে ভিজে হয়েছে মলিন, গন্ধ মাঠে ক্ষেতে—গবরে পোকার তুচ্ছ বািক থেকে ক্ষীণ করণ শবদ ডুবিতেছে অন্ধকারে নদীর ভিতর ঃ সব দেখিয়াছি ; দেখিয়াছি নদীটিরে--মজিতেছে ঢাল অন্ধকারে ; মাসী উড়ে যায় ; দড়িকাক অশ্বখের নীড়ের ভিতর নার শব্দ করে অবিরাম ; কুয়াশায় একাকী মাঠের ঐ ধারে যেন দাঁড়ায়ে আছে ; আরো দরে দু-একটা স্তবধ খোড়ো ঘর ড়ে আছে ; খাগড়ার বনে ব্যাং ডাকে কেন—থামিতে কি পারে ; iাকের তরুণ ডিম পিছলায়ে পড়ে যায় শ্যাওড়ার ঝাড়ে । ) মুষের ব্যথা আমি পেয়ে গেছি পৃথিবীর পথে এদে-হাসির আস্বাদ ষের ব্যথা আমি পেয়ে গেছি পথিবীর পথে এসে —হাসির আসবাদ য়ে গেছি ; দেখেছি আকাশে দরে কড়ির মতন শাদা মেঘের পাহাড়ে যর রাঙা ঘোড়া ঃ পক্ষিরাজের মতো কমলারঙের পাখা ঝাড়ে তর কুয়াশা ছিড়ে ; দেখেছি শরের বনে শাদা রাজহাঁসের সাধ ঠছে আনন্দে জেগে—নদীর স্রোতের দিকে বাতাসের মতন অবাধ ল গেছে কলরবে ; দেখেছি সবুজ ঘাস—যত দীর চোখ যেতে পারে ঃ সের প্রকাশ আমি দেখিয়াছি অবিরল,—পথিবীর ক্লান্ত বেদনারে ক আছে ; দেখিয়াছি বাসমতি,—কাশবন আকাংক্ষার রম্ভ, অপরাধ ছায়ে দিতেছে যেন বার বার—কোন এক রহস্যের কুয়াশার থেকে খানে জন্মে না কেউ, যেখানে মরে না কেউ, সেই কুহকের থেকে এসে ঙা রোদ, শালিধান, ঘাস, কাশ, মরালেরা বার-বার রাখিতেছে ঢেকে মাদের রক্ষে প্রশ্ন, ক্লান্ত ক্ষুধা, ফুট মৃত্যু—আমাদের বিস্মিত নীরব খ দেয়-পথিবীর পথে আমি কেটেছি অচিড় ঢের, অশ্র গেছি রেখে ঃ ঐ মরালীর কাশ ধান রোদ ঘাস এসে এসে মুছে দেয় সব । মি কেন বহু দরে-টের দরে –আরো দরে-নক্ষত্রের অস্পষ্ট আকাশ ম কেন বহা দরে-টের দরে—আরো দরে—নক্ষত্রের অপষ্ট আকাশ, ম কেন কোনদিন পথিবীর ভিড়ে এসে বলো নাকো একটিও কথা ; মরা মিনার গড়ি-ভেঙ্গে পড়ে দু'দিনেই—স্বপনের ডানা ছিড়ে ব্যথা হয়ে ঝরে শুধু এইখানে—ক্ষধা হ’য়ে ব্যথা দেয়—নীল নাভিশবাস মায়ে তুলিছে শুধ পৃথিবীতে পিরামিড-যুগ থেকে আজো বারোমাস ; মাদের সত্য, আহা, রক্ত হয়ে ঝরে শ্ধ –আমাদের প্রাণের মমতা উঙের ডানা নিয়ে ওড়ে, আহা ঃ চেয়ে দেখে অন্ধকার কঠিন ক্ষমতা মাহীন—বার বার পথ আটকায়ে ফেলে—বার বার করে তারে গ্রাস ; ృఆచి