পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংযোজন : বনলতা সেন আবহমান পথিবী এখন ক্ৰমে হতেছে নিঝুম । লকলেরই চোখ ক্ৰমে বিজড়িত হয়ে যেন আসে ; যদিও আকাশ সিন্ধ ভরে গেল অগ্নির উল্লাসে ; যেমন যখন বিকেলবেলা কাটা হয় খেতের গোধ্যম চিলের কান্নার মতো শব্দ ক’রে মেঠো ই‘দরের ভিড় ফসলের ঘুম গাঢ় ক’রে দিয়ে যায় ।—এইবার কুয়াশায় যাত্রা সকলের । -সমুদ্রের রোল থেকে একটি আবেগ নিয়ে কেউ নদীর তরঙ্গে—ক্লমে—তুষারের স্তুপে তার ঢেউ । একবাব টের পাবে—দ্বিতীয় বারের সময় আসার আগে নিজেকেই পাবে না সে টের । এইখানে সময়কে যতদুর দেখা যায় চোখে নিজন খেতের দিকে চেয়ে দেখি দাঁড়ায়েছে অভিভূত চাষা ; এখনো চালাতে আছে পথিবীর প্রথম তামাশা সকল সময় পান ক’রে ফেলে জলের মতন এক ঢেকে ; অঘ্রাণের বিকেলের কমলা আলোকে নিড়োনো খেতের কাজ ক’রে যায় ধীরে ; একটি পাখির মতো ডিনামাইটের পরে বসে । পথিবীব মহত্তর অভিজ্ঞতা নিজের মনের মাদ্রাদোষে নষ্ট হয়ে খসে যায় চারিদিকে আমিষ তিমিরে ; 語 সোনালি সষের সাথে মিশে গিয়ে মানুষটা আছে পিছ ফিরে । ভোরের সফটিক রৌদ্রে নগরী মলিন হ’য়ে আসে । মানুষের উৎসাহের কাছ থেকে শরণ হ’লো মানুষের বত্তি আদায় । যদি কেউ কানাকড়ি দিতে পারে বুকের উপরে হাত রেখে তবে সে প্রেতের মতো ভেসে গিয়ে সিংহদরজায় আঘাত হানিতে গিয়ে মিশে যায় অন্ধকার বিশ্বের মতন । অভিভূত হয়ে আছে—চেয়ে দ্যাথো—বেদনার নিজের নিয়ম । নেউলধসর নদী আপনার কাজ বজে প্রবাহিত হয় ; জলপাই-অরণ্যের ওই পারে পাহাড়ের মেধাবী নীলিমা ; ওই দিকে সষ্টি যেন উষ্ণ স্থির প্রেমের বিষয় ; ఏUషి