পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুচি বাতাবি লেবর মতো সবুজ সগন্ধি ঘাস ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছে ; দীর তীক্ষ্য শীতল ঢেউয়ে সে নামল— মহীন ক্লান্ত বিহবল শরীরটাকে স্রোতের মতো একটা আবেশ দেওয়ার জন্য অন্ধকারের হিম কুঞ্চিত জরায় ছিড়ে ভোরের রৌদ্রের মতো - একটা বিস্তীর্ণ উল্লাস পাবার জন্য ; ই নীল আকাশের নিচে সয্যের সোনার বশীর মতো জেগে উঠে

  1. হসে সাধে সৌন্দর্যে হরিণীর পর হরিণীকে চমক লাগিয়ে দেবার জন্য। একটা অদ্ভুত শব্দ ।

জল মচকাফুলের পাপড়ির মত লাল । মাগন জললো আবার—উষ্ণ লাল হরিণের মাংস তৈরী হয়ে এলো । ক্ষত্রের নিচে ঘাসের বিছানায় বসে অনেক পরানো শিশিরভেজা গল্প ; সগারেটের ধোঁয়া ; কুরিকাটা কয়েকটা মানষের মাথা ; লোমেলো কয়েকটা বন্দক—হিম—নিঃস্পন্দ নিরপরাধ ঘাম । রিণের সবপ্নের ভিতরে বঝি—ফাগানের জ্যোৎস্নার ভিতরে দেখিলাম পলাশের বনে খেলা করে হরিণেরা ; রপোলি চাঁদের হাত শিশিরে পাতায় ; বাতাস ঝাড়িছে ডানা—মন্তা ঝ’রে যায় পল্লবের ফাঁকে ফাঁকে—বনে বনে—হরিণের চোখে ; হরিণেরা খেলা করে হাওয়া আর মনস্তার আলোকে । হীরের প্রদীপ জেলে শেফালিকা বোস যেন হাসে হিজল ডালের পিছে অগণন বনের আকাশে,— বিলন্ত ধসের কোন পথিবীর শেফালিকা, আহা ; ফাগানের জ্যোৎস্নায় হরিণেরা জানে শুধু তাহা । বাতাস ঝাড়িছে ডানা, হীরা ঝরে হরিণের চোখেহরিণেরা খেলা করে হাওয়া আর হীরার আলোকে । জীবনানন্দ (১ম) - ২ ՖԳ