পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰেড়াল সারাদিন একটা বেড়ালের সঙ্গে ধরে ফিরে কেবলই আমার দেখা হয় ঃ গাছের ছায়ায়, রোদের ভিতরে, বাদামী পাতার ভিড়ে ; কোথাও কয়েক টুকরো মাছের কাঁটার সফলতার পর তারপর শাদা মাটির কণ্ডকালের ভিতর নিজের হৃদয়কে নিয়ে মৌমাছির মতো নিমগ্ন হয়ে আছে দেখি ; কিন্তু তবুও তারপর কৃষ্ণচড়ার গায়ে নখ অচিড়াচ্ছে, সারাদিন সমযের পিছনে-পিছনে চলছে সে । একবার তাকে দেখা যায়, একবার হারিয়ে যায় কোথায় । হেমন্তের সন্ধ্যায় জাফরান-রঙের সষের নরম শরীরে শাদা থাবা বুলিয়ে বুলিয়ে খেলা করতে দেখলাম তাকে ; তারপর অন্ধকারকে ছোট ছোট বলের মতো থাবা দিয়ে লফে আনলো সে সমস্ত পথিবীর ভিতর ছড়িয়ে দিল । স্থদর্শন একদিন মান হেসে আমি তোমার মতন এক মহিলার কাছে যুগের সঞ্চিত পণ্যে লীন হ’তে গিয়ে অগ্নি পরিধির মাঝে সহসা দাঁড়িয়ে শুনেছি কিন্নরকষ্ঠ দেবদার গাছে, দেখেছি অমৃতস্য আছে । সব চেয়ে আকাশ নক্ষত্র ঘাস চন্দ্রমল্লিকার রাত্রি ভালো ; তবুও সময় স্থির নয় ; অারেক গভীরতর শেষ রুপ চেয়ে দেখেছে সে তোমার বলয় । এই পথিবীর ভালো পরিচিত রোদের মতন তোমার শরীর ; তুমি দান করোনি তো ; সময় তোমাকে সব দান করে মতদার ব’লে সন্দশনা, তুমি আজ মত । অন্ধকার গভীর অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর ছল ছল শব্দে জেগে উঠলাম আবার ; তাকিয়ে দেখলাম পাণ্ডর চাঁদ বৈতরণীর থেকে তার অধোঁক ছায়া গুটিয়ে নিয়েছে যেন -কাতিনাশার দিকে । , ১৮