পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই সব ভয়াবহ আরতি । গভীর অন্ধকারের ঘামের আগবাদে আত্মা লালিত ; আমাকে কেন জাগাতে চাও ? = * হে সময়গ্রন্থি, হে সয’, হে মাঘনিশীথের কোকিল, হে সমতি, হে হিম-হাওয়া, আমাকে জাগাতে চাও কেন ? অরব অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর ছিল ছল শব্দে জেগে উঠবো না আর ; তাকিয়ে দেখবো না নিজন বিমিশ্র চাঁদ বৈতরণীর থেকে অর্ধেক ছায়া গুটিয়ে নিয়েছে কীতিনাশার দিকে । ধানসিড়ি নদীর কিনারে আমি শয়ে থাকবো – ধীরে—ধীরে-পউষের রাতে কোনোদিন জাগবো না জেনে— কোনোদিন জাগবো না আমি—কোনোদিন আর । কললালেবু একবার যখন দেহ থেকে বা’র হয়ে যাব আবার কি ফিরে আসব না আমি পথিবীতে ? আবার যেন ফিরে আসি কোনো এক শীতের রাতে একটা হিম কমলালেবর করণ মাংস নিয়ে কোন এক পরিচিত মন্মষের বিছানার কিনারে । शृंJiयव्ली শ্যামলী, তোমার মাখ সেকালের শক্তির মতুন ; যখন জাহাজে চড়ে যুবকের দল সদর নতুন দেশে সোনা আছে ব’লে, মহিলারি প্রতিভায় সে ধাতু উজ্জল টের পেয়ে, দ্রাক্ষা দধি ময়র শয্যার কথা ভুলে সকালের রাঢ় রৌদ্রে ডুবে যেত কোথায় অকুলে । তোমার মুখের দিকে তাকালে এখনো আমি সেই পথিবীর সমুদ্রের নীল, দপুরের শান্য সব বন্দরের ব্যথা, বিকেলের উপকন্ঠে সাগরের চিল, নক্ষত্র, রাত্রির জল, যত্নবাদের ক্লন্দন সবশ্যামলী, করেছি অনুভব । অনেক অপরিমেয় যােগ কেটে গেল ; ՀO