পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনানন্দ (১ম)—৪ আমি গিয়ে তাই তারে পারিনি জাগাতে, পাষাণের মতো হাত পাষাণের হাতে রয়েছে আড়ষ্ট হ’য়ে লেগে ; তবুও,—হয়তো তবল উঠিবে সে জেগে তুমি যদি হাত দুটি ধরো গিয়ে তার 1– ফুরালাম রপেকথা, শুনিল কুমার । তারপর, কহিল কুমার, আমিও দেখেছি তারে,—বসন্তসেনার মতো সেইজন নয়—কিবা হবে তাই,— ঘুমন্ত দেশের সে-ও বসন্তসেনাই ! মনে পড়ে,—শোনো,—মনে পড়ে নবমী ঝরিয়া গেছে নদীর শিয়রে,— ( পদমা—ভাগীরথী—মেঘনা—কোন নদী যে সে,— সে সব জানি কি আমি !—হয়তো বা তোমাদের দেশে সেই নদী আজ আর নাই,— আমি তব তার পাড়ে আজো তো দাঁড়াই । ) সেদিন তারার আলো—আর নিব নিবন্ধ জ্যোৎস্নায় পথ দেখে, যেইখানে নদী ভেসে যায় কান দিয়ে তার শবদ শুনে, দাঁড়িয়েছিলাম গিয়ে মাঝরাতে,—কিবা ফালগুনে । দেশ ছেড়ে শীত যায় চ’লে সে সময়,—প্রথম দাঁখনে এসে পড়িতেছে ব’লে রাতারাতি ঘমে ফে'সে যায় ; অামারো চোখের ঘমে খসেছিলো হায়,— বসন্তের দেশে জীবনের—যৌবনের –আমি জেগে,—ঘনমস্ত শয়ে সে ! জমানো ফেনার মত দেখা গেলে তারে নদীর কিনারে । হাতির দাঁতের গড়া-মতি’র মতন শময়ে আছে,—শয়ে আছে—শাদা হাতে ধবধবে স্তন রেখেছে সে ঢেকে ! বাকিটুকু,—থাক-—আহা,—একজনে দেখে শুধ-দেখে না অনেকে এই ছবি ! দিনের অালোয় তার মুছে যায় সবি !— আজো তব খুজি কোথায় ঘুমন্ত তুমি চোখ আছো বুজি । কুমারের শেষ হ’লে পরে,— 83