পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবার তো জন্ম নেবে তোমাদের দেশে । আমরা সাধিয়া গেছি যার কথা,—পরীর মতন এক ঘমোনো মেয়ে সে হীরের ছয়রির মতো গায়ে আরো ধার লবে সে শানায়ে । সেই দিনও তার কাছে এসে হয়তো র’বে না আর কেউ,— মেঘের মতন চুল ;–তার সে চুলের ঢেউ এমনি পড়িয়া রবে পালঙ্কের পরে,— ধাপের ধোয়ার মতো ধলা সেই পরীর ভিতর । চার পাশে তার রাজ—যুবরাজ—জেতা—যোদ্ধাদের হাড় গড়েছে পাহাড় । এ রপেকথার এই রুপসীর ছবি তুমিও দেখিবে এসে,— তুমিও দেখিবে এসে কবি ! পাথরের হাতে তার রাখিবে তো হাত,— শরীরেননীর বাছরি,—ছ;য়ে দ্যাখো—চোখা ছুরি,—ধারালো হাতির,দাঁত । হাড়েরই কাঠামো শুধ,—তার মাঝে কোনোদিন হৃদয় মমতা ছিলো কই ।—তব, সে কি জেগে যাবে ? কবে সে কি কথা তোমার রক্তের তাপ পেয়ে ?— আমার কথার এই মেয়ে,—এই মেয়ে ! কে যেন উঠিল ব’লে—তোমরা তো বলো রপেকথা,— তেপান্তরের গল্প সব,—ওর কিছর আছে নিশ্চয়তা ! হয়তো অমনি হবে,—দেখিনিকো তাহা, কিন্তু, শোনো,—স্বপ্ন নয়,—আমাদেরি দেশে কবে, আহা ! যেখানে মায়াবী নাই,—যাদ–নাই কোনো,— এ-দেশের—গাল নয়, গল্প নয়, দ’-একটা শাদা কথা শোনো ! সে-ও এক রোদে লাল দিন, রোদে লাল,—সবজীর গানে-গানে সহজ স্বাধীন একদিন,—সেই একদিন । ঘুম ভেঙে গিয়েছিলো চোখে, ছে’ড়া করবীর মত মেঘের আলোকে চেয়ে দেখি রপেসী কে পড়ে আছে খাটের উপরে 1 মায়াবীর ঘরে । n ঘুমন্ত কন্যার কথা শুনেছি অনেক আমি, দেখিলাম তব চেয়ে-চেয়ে এ ঘমোনো মেয়ে পথিবীর,—মানুষের দেশের মতন ; রপে ঝরে যায়,—তব্য করে যারা সৌন্দয্যের মিছা আয়োজন,— &సి