পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাস্তে হাতে কতোবার যাইনি কি মাঠে ? মেছোদের মতো আমি কতো নদী ঘাটে ঘুরিয়াছি ; পর্কুেরের পানা শ্যাওলা—অশিটে গায়ের ঘাণ গায়ে গিয়েছে জড়ায়ে ; —এই-সব সবাদ ; —এ-সব পেয়েছি আমি ;—বাতাসের মতন অবাধ বয়েছে জীবন, নক্ষত্রের তলে শময়ে ঘামায়েছে মন ७कर्गमन : এই সব সাধ জানিয়াছি একদিন,—অবাধ—অগাধ ; চলে গেছি ইহাদের ছেড়ে ;— ভালো বেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে, অবহেলা ক’রে অামি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে, ঘণা ক’রে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে ; অামারে সে ভালোবাসিয়াছে, অTসিয়াছে কাছে, উপেক্ষা সে করেছে অামারে, ঘণা ক’রে চ’লে গেছে—যখন ডেকেছি বারে-বারে, ভালোবেসে তারে ; তবুও সাধনা ছিল একদিন,—এই ভালোবাসা ; অামি তার উপেক্ষার ভাষা অামি তার ঘণার অাক্লোশ অবহেলা ক’রে গেছি ; যে-নক্ষত্র—নক্ষত্রের দোষ অামার প্রেমের পথে বার-বার দিয়ে গেছে বাধা অামি তো ভুলিয়া গেছি ; তব্য এই ভালোবাসা-–ধুলো অার কাদা— । মাথার ভিতরে সর্বপ্ন নর-—প্রেম নয়—কোন এক বোধ কাজ করে । আমি সব দেবতারে ছেড়ে, অামার প্রাণের কাছে চ’লে আTসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে ; সে কেন জলের মতো ঘনরে-ঘরে একা কথা কয় ! অবসাদ নাই তার P নাই তার শান্তির সময়ঃ2 কোনোদিন ঘুমাবে না ? ধীরে শহয়ে থাকিবার সবাদ পাবেনা কি ? পাবেনা আহাদ GzGs