পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নদীর ধারে সে ভূত একদিন দেখেছে নিশ্চয় । পায়ের তলের পাতা—পাপড়ির মতো মনে হয় জীবনেরে,—খ’সে ক্ষয়ে গিয়েছি যে, তাহার মতন জীবন পড়িয়া থাকে,—তার বিছানায় খেদ,—ক্ষয়— পাহাড় নদীর পারে হাওয়া হয়ে ভূত হ’য়ে মন চকিত পাতার শব্দে বাতাসের বয়কে তারে করে অন্বেষণ ! ૨૧ জীবন,—আমার চোখে মুখ তুমি দেখেছো তোমার,— একটি পাতার মতো অন্ধকারে পাতা-ঝরা গাছে ;— একটি বোঁটার মতো যে-ফুল ঝরিয়া গেছে তার ;– একাকী তারার মতো, সব তারা আকাশের কাছে যখন মুছিয়া গেছে—পথিবীতে আলো আসিয়াছে ;— যে ভালোবেসেছে, তার হৃদয়ের ব্যথার মতন ;— কাল যাহা থাকিবে না,—আজই যাহা সমতি হয়ে অাছে ;– দিন-রাত্রি—আমাদের পথিবীর জীবন তেমন । সন্ধ্যার মেঘের মতো মহোতের রঙ লয়ে মহোতে নতন ! ՀԵ আশঙ্কা ইচ্ছার পিছে বিদ্যতের মতো কে’পে ওঠে ! বীণার তারের মতো কে"পে-কে"পে ছি*ড়ে যায় প্রাণ ! অসংখ্য পাতার মতো লুটে তারা পথে-পথে ছোটে,— যখন ঝড়ের মতো জীবনের এসেছে আহবান ! অধীর ঢেউয়ের মতো—অশান্ত হাওয়ার মতো গান কোন দিকে ভেসে যায় —উড়ে যায়,—কয় কোন কথা ! ভোরের আলোয় আজ শিশিরের বসুকে যেই ঘাণ, রহিবে না কাল তার কোনো সবাদ, —কোনো নিশ্চয়তা ! পাণ্ডুর পাতার রঙ গালে,—তব্য রক্তে তার রবে অসুস্থতা ! ২৯ যেখানে আসেনি চাষা কোনোদিন কাস্তে হাতে ল’য়ে, জীবনের বীজ কেউ বোনে নাই সেইখানে এসে, নিরাশার মত ফে'পে চোখ বুজে পলাতক হয়ে প্রেমেরে মৃত্যুর চোখে সেইখানে দেখিয়াছি শেষে ! তোমার চোখের পরে তাহার মুখেরে ভালোবেসে এখানে এসেছি আমি,—আর একবার কোঁপে উঠে অনেক ইচ্ছার বেগে,—শান্তির মতন অবশেষে সব ঢেউ ভেঙে নিয়ে ফেনার ফলের মতো ফুটে, ঘমাব বালির পরে ;–জীবনের দিকে আর যাবো নাকো ছটে ! ԳO