পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

උඋණ් আমরা ঘামায়ে থাকি পথিবীর গহবরের মতো,— পাহাড় নদীর পারে অন্ধকারে হয়েছে আহত একা-হরিণের মতো আমাদের হৃদয় যখন ! জীবনের রোমাণের শেষ হ’লে ক্লান্তির মতন পাণভুর পাতার মতো শিশিরে-শিশিরে ইতস্তত আমরা ঘামায়ে থাকি —ছয়টি ল’য়ে চলে যায় মন — পায়ের পথের মতো ঘমেন্তেরা প’ড়ে অাছে কতো,— তাদের চোখের ঘুম ভেঙে যাবে আবার কখন — জীবনের জবর ছেড়ে শান্ত হ’য়ে রয়েছে হৃদয়,— অনেক জাগার পর এই মতো ঘুমাইতে হয় । অনেক জেনেছি ব’লে আর কিছু হয় না জানিতে ; অনেক মেনেছে ব’লে আর কিছদ হয় না মানিতে ; দিন-রাত্রি-গ্রহ-তারা-পথিবী-আকাশ ধ’রে ধ’রে অনেক উড়েছে যারা অধীর পাখির মতো ক’রে,— পৃথিবীর বুক থেকে তাদের ডাকিয়া আনিতে পুরুষ পাখির মতো,—প্রবল হাওয়ার মতো জোরে মৃত্যুও উড়িয়া যায় !—অসাড় হতেছে পাতা শীতে, হৃদয়ে কুয়াশা আসে,—জীবন যেতেছে তাই ঝ’রে !— পাখির মতন উড়ে পায়নি যা পৃথিবীর কোলে— মৃত্যুর চোখের পরে চমো দেয় তাই পাবে ব’লে ! কারণ, সাম্রাজ্য—রাজ্য—সিংহাসন—জয় মৃত্যুর মতন নয়,—মৃত্যুর শান্তির মতো নয় । কারণ, অনেক আশ্রম-—রঞ্জের মতন আশ্রম ঢেলে আমরা রাখিতে আাছি জীবনের এই আলো জেলে । তবুও নক্ষত্র নিজে নক্ষত্রের মতো জেগে রয় !— তাহার মতন আলো হৃদয়ের অন্ধকারে পেলে মানুষের মতো নয়,—নক্ষত্রের মতো হ’তে হয় । মানুষের মতো হ’য়ে মানুষের মতো চোখ মেলে মানুষের মতো পায়ে চলিতেছি যতদিন,—তাই,— ক্লান্তির পরে ঘুম,—মৃত্যুর মতন শান্তি চাই ! কারণ, যোদ্ধার মতো—আর সেনাপতির মতন জীবন যদিও চলে,—কোলাহল ক’রে চলে মন যদিও সিন্ধর মতো দল বেধে জীবনের সাথে, সবুজ বনের মতো উত্তরের বাতাসের হাতে ●ぐり