পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবারের মতন ছোটো বনকে তাদের জীবন ছিলো— যেমন রয়েছে মৃত্যু লক্ষ-লক্ষ মাইল ধ’রে সমাদের মুখে তেমন অতল সত্য হয়ে । কোথাও জীবন আছে—জীবনের সবাদ রহিয়াছে, কোথাও নদীর জল রয়ে গেছে—সাগরের তিতা ফেনা নয়, খেলার বলের মতো তাদের হৃদয় এই জানিয়াছে ; o কোথাও রয়েছে প’ড়ে শীত পিছে, আশবাসের কাছে তাহা আসিয়াছে । তারপর চলে যায় কোন এক ক্ষেতে ; তাহার প্রিয়ের সাথে আকাশের পথে যেতে-যেতে সে কি কথা কয় ? তাদের প্রথম ডিম জন্মিবার এসেছে সময় । অনেক লবণ ঘেটে সমাদের পাওয়া গেছে এ-মাটির গ্ৰীণ, ভালোবাসা আর ভালোবাসার সন্তান, আর সেই নীড়, এই সবাদ—গভীর—গভীর। আজি এই বসন্তের রাতে ঘামে চোখ চায় না জড়াতে ; ওই দিকে শোনা যায় সমুদ্রের সবর, সকাইলাইট মাথার উপর, আকাশে পাখীরা কথা কয় পরস্পর । শকুন মাঠ থেকে মাঠে-মাঠে-সমস্ত দপুর ভরে এশিয়ার আকাশে-আকাশে শকুনেরা চরিতেছে ; মানুষ দেখেছে হাট ঘটি বস্তি ;–নিস্তবধ প্রান্তর শকুনের ; যেখানে মাঠের দঢ় নীরবতা দাঁড়ায়েছে আকাশের পাশে আরেক আকাশ যেন,-সেইখানে শকুনেরা একবার নামে পরস্পর কঠিন মেঘের থেকে ;–যেন দরে আলো ছেড়ে ধম ক্লান্ত দিকহস্তিগণ পড়ে গেছে—প’ড়ে গেছে পথিবীতে এশিয়ার ক্ষেত্র মাঠ প্রান্তরের পর এই সব ত্যন্ত পাখি কয়েক মাহত শুধু ;–আবার কারছে আরোহণ অাঁধার বিশ্নাল ডানা পাম গাছে,-পাহাড়ের শিঙে-শিঙে সমাদের পারে: lf.8