পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তবও জানিত যদি আমার এ-জীবনের মাহতের কথা মানুষের জীবনের মহাতের কথা দেবতারা করেনি বিক্ষত ইহাদের ঃ ( দেবতারা করেনি বিক্ষত নিজেদের কোনো অভিজ্ঞতা নাই•••দেবতার ) ঘঘদের শাদা ডানা-নীল রাত্ৰি—কমলারঙের মেঘ—সমুদ্রের ফেনা রোদ–হরিণের বকে বেদনার নীরব আঘাত ; এরা প্রশ্ন করে নাকো ঃ ইহারা সন্দর শান্ত—জীবনের উদযাপনে সন্দেহের হাত ইহারা তোলে না কেউ অাঁধারে আকাশে * ইহাদের দ্বিধা নাই—ব্যথা নাই—চোখে ঘুম আসে । শুনেছে কে ইহাদের মখে কোনো অন্ধকার কথা ? সকল সঙ্কল্প চিন্তা রক্ত আনে ব্যথা আনে—মানুষের জীবনের এই বিসৎসতা ইহাদের ছোঁয় নাকো ;– ব্যবনিক প্লেগের মতন সকল আচ্ছন্ন শান্ত স্নিগ্ধতারে নষ্ট ক’রে ফেলিতেছে মানুষের মন । গোলাপী ধসের মেঘে পশ্চিমের বিয়োগ সে দ্যাখে না কি ? প্রজাপতি পাখি-মেয়ে করে না কি মানষের জীবনের ব্যথা আহরণ ? তব এরা ব্যথা নয় ;–ইহারা অাবত সব—বিচিত্র—নীরব অবিরল জাদুঘর এরা এক ;–এরা রপে ঘাম শান্তি স্থির এই মত পাখি কীট-প্রজাপতি রাঙা মেঘ-সাপের অধিার মুখে ফড়িঙের জোনাকির এই সব ! নীড় অামি জানি, একদিন আমিও এমন পতঙ্গের হৃদয়ের ব্যথা হব-সমদ্রের ফেনা শাদা ফেনায় যেমন ভেঙে পড়ে—ব্যথা পায় । মানুষের মন তবুও রপ্তান্ত হয় কেন এক অন্য বেদনায় কীট যাহা জানে নাকো—জানে নাকো নদী ফেনা ঘাসরোদ–শিশির কুয়াশা জ্যোৎস্না ; আমান হেলিওট্টোপ হায় ! এ-সটির জাদুঘরে রপ তারা— শান্তি-ছবি—তাহারা ঘামায় সটি তাই চায় । ভুলে যাবো যেই সাধ—যে-সাহস এনেছিল মানুষের কেবল যাহা শুধ গ্লানি হলো—কৃপা হলো—নক্ষত্রের ঘণা হলো—অন্য কোনো স্থল পেল নাকো । ᏌᏱ