পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চারিদিকে বিচ্ছেদের প্রাণ লেগে রয় পথিবীতে ; এই ক্লেশ ইহাদেরো বকের ভিতর ; ইহাদেরও ; অজস্র গভীর রঙ পালকের পর তবে কেন ? কেন এ সোনালি চোখ খুজেছিলো জ্যোৎস্নার সাগর ? আবার খুজিতে গেল কেন দর সন্ট চরাচর ! অভ্ৰাণ আমি এই অম্ৰাণেরে ভালোবাসি—বিকালের এই রঙ—রঙের শান্যতা রোদের নরম রোম—ঢাল মাঠ—বিবণ বাদামী পাখি—হলদে বিচালি পাতা কুড়াবার দিন ঘাসে-ঘাসে—কুড়মুনির মুখে তাই নাই কোনো-কথা, ধানের সোনার কাজ ফুরায়েছে—জীবনেরে জেনেছে সে—কুয়াশায়খালি তাই তার ঘনম পায়—খেত ছেড়ে দিয়ে যাবে এখনি সে—খেতের ভিতর এখনি সে নেই যেন—ঝ’রে পড়ে আঘাণের এই শেষ বিষন্ন সোনালি তুলিটুকু ;—মছে যায় ;–কেউ ছবি অকিবে না মাঠে-মাঠে যেন তারপর, অকিতে চায় না কেউ—এখন অন্ত্রাণ এসে পথিবীর ধরেছে হৃদয় ; একদিন নীল ডিম দেখিনি কি ?—দটো পাখি তাদের নীড়ের মদ খড় সেইখানে চুপে-চুপে বিছায়েছে—তব্য নীড়,—তব্য ডিম—ভালোবাসা সাধঃশেষ{হয় তারপর কেউ তাহা চায় নাকো—জীবন অনেক দেয়—তবুও জীবন আমাদের ছয়টি দেয় তারপর—একখানা আধখানা লকোনো বিস্ময় অথবা বিস্ময় নয়—শ্ধ শান্তি – শুধু হিম কোথায় যে রয়েছে গোপন অপ্ৰাণ খুলেছে তারে—আমার মনের থেকে কুড়ায়ে করেছে আহরণ। শীত শেষ আজ রাতে শেষ হয়ে গেল শীত—তারপর কে যে এল মাঠে-মাঠে খড়ে হসি গাভী শাদা-প্লেট আকাশের নীল পথে যেন মদন মেঘের মতন, ধানের সোনার ছড়া নাই মাঠে—ই’দর তবুও আর যাবে নাকো ঘরে তাহার রপোলি রোম জ্যোৎস্নায় একবার সচকিত ক’রে যায় মন, হৃদয়ে আসবাদ এল ফড়িঙের—কীটেরও যে—ঘাস থেকে ঘাসে-ঘাসে তাই নিজন ব্যাঙের মুখে মাকড়ের জালে তারা বরং এ অধীর জীবন ছেড়ে দেবে—তব্য আজ জ্যোৎস্নায় সখি ছাড়া সাধ ছাড়া আর কিছল নাই ; আছে না কি আর কিছ ? পাতা খড়কুটো দিয়ে যে-অাগন জেলেছে হৃদয় ఏS