পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—“আমার অবিশ্যি ঘুমোতে দেরি আছে—- ‘তা হলে ব্ৰিজ খেলো গিয়ে—- “ব্ৰিজ অামি রোজই খেলি তোমাকে কে বললে ? মাসের মধ্যে হয় তা বড় জোর দু-তিন দিন —“নাঃ –দেরি করো না অার : একটা পান মুখে দিয়েই শুয়ে পড়ব—- এক-প। দু-পা করে চলে যাচ্ছিলাম – অঞ্জলি পিছন থেকে ডাক দিয়ে —- ‘শোনো, ফিরে এসে দাড়াতে অামার ঘাড়ের উপর একবার ঝাপসা হাত বুলিয়ে নেবার চেষ্টা করে—“তোমার খাট অাবার বাইরের ঘরে গেল ?” ‘কেন, বাবার ঘরে পাশে বেশ তো ছিলে — সেখানে ইন্দিরা থাকবে ।” -“বিছানা পেতে ছ তোমার ?” —“পেতে নেব । ‘মশারি টানিয়েছ ?” ‘টানানো যাবে ।” দেখো, ভুল ? অাবার মশারি না খাটিয়ে শুয়ো না ।” অামি— এই চৌত্ৰিশ বছর ধরে মেসে-বোৰ্ডিঙে থাকা অামাদের অভ্যাস অামাদের ভুল হয় না । অঞ্জলি—“কি হবার পর এই অা ভাই বছর কেটে গেল । এই অাড়াইটা বছর কোন দিন কোথায় শোও, বিছানা কে পাতে না পাতে, নো” “র কাপড়-চোপড় জামা-জুতো কোনো কিছুরই খোঁজ খবর রাখতে পারি না অামি— আচ্ছা, দু অানার জৰ্দাই এনো

  • ম ৩ানার অানব ? বললে না চার পয়সার ?”

--"দোয়ানিটা জৰ্দার জন্যই রেখেছিলাম অামি বলে ধোয়া পান গুলো হি ডুতে-হি ডুতে অঞ্জলি মাথা হেঁট করে রইল । জৰ্দার দোকানে গিয়ে বুঝলাম—দোয়ানিটা তেলা, চলবে না । তিন-চার দিন পর ঘুরে-ফিরে অাবার বায়স্কোপ যাবার কথা উঠল ।