পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেন ? ” কী পেলাম জীবনে ?” —“তুমি অবিশ্যি কম পাও নি রাজেন, এক শ টাকার চাকরি বাধা দিয়ে রাজেন —“ঘরের ভিতর যার অন্তঃসারশূন্য, চাকরি দিয়ে সে কী করবে ? —“বেীমা তোমাকে ভালবাসে না ? ” — “।” খুব ‘কোনো রোগ-শোক নেই তো ?” —“কার ? বোয়ের ?” ‘হঁ্যা ।” —“না, বেশ সুস্থ শরীর ; মনে কোনো বিরসতা নেই।” ‘বুদ্ধি-বিচার অাছে ?” —“খুব । ‘শুধু সন্তানবতন করতে চায় না। এই এক অভাব বুকি ? ” —“কিন্তু এক জন পুরুষের জীবন এতেই কি পণ্ড হয়ে যায় না ?’ চুরুট জ্বালিয়ে মানুষের হৃদয়ের তৃষ্ণার কথা ভাবছিলাম —-অামি ও মাঝে-মাঝে তৃষ্ণা অনু ভব করি ; তৃষ্ণা জাগে-নারী যে তৃষ্ণাহীন সে কথা বুঝতে পেরে বিস্থিত হই, অাঘাত পাই, অাধাত পাই, বিস্মিত হই । তারপর ধীরে-ধীরে জীবনের অনুকরণ নামে ৬য়াবহ দীৰ্ঘ নদীর পার ঘেঁযে ঘুমিয়ে পতি । জলতে হয়- জ্বলে যেতে হয় । কোনো জিনিশ নিয়ে চিন্তিত ও বিক্ষুদ্ধ হয়ে থাকলে কী করে চলে মানুষের জীবনে ? রাজেন —“৩ালবাসা হয়েছিল সাজাহানের কী রকম ?” ‘মমতাজ তাকে ষোলটি সন্তান দিয়েছিল—” রাজেন এ রকম কথা অনেক ক্ষণ ধরে ভাবে হয় তো । বললাম— টলস্টয়-এর অনেক সন্তান ছিল —“তা ছিল বই কি ।” “কিন্তু তাদের দাম্পত্যজীবন বিশেষ সুখের ছিল না তো ।” —‘এনিম্যাল লাইফ তো চমৎকার ছিল ।”