পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেন ?" ‘অামার বাসার পাশেই এক জন মাস্টার থাকেন ; একটু রাত করে ফিরলেই তিনি কৈফিয়ত নিতে অাসেন ।” —“কেন, কী দরকার তার } ” নিজে তিনি ই স্কুল থেকে এসেই শুয়ে পড়েন । রাত নটার সময় স্ত্ৰীকে খালাস করে দিয়ে হাতে আার-কোনো কাজ খুঁজে পান না—কাজেই এ-বাড়ি সে-বাডি ঘুরে বেড়ান ।” এই কি প্ৰথম পক্ষ ?” —‘যোগেশদার ? হুঁ।া, নটা পৰ্য স্বীর সঙ্গে শুয়ে থাকেন ওটা তার অভাস । বাধকের দোষ নয় । বয়স বেশি নয় তো -- উনত্ৰিশ ।” —“তা হলে সময় অাছে । সন্দেহ । “তবে এ-সব লোক তৃতীয় পক্ষের মুনাফা পাওয়া পৰ্যন্ত লাচকে কি না ২৮ ‘না, চেলাকাঠের মত বেশ শক্ত শরীর -—। বঁাচৰে ।” ছেলেপিলে কটি তয়েছে এ পর্য : ?” —“হচ্ছে, মারে যাচ্ছে - গুণার অবকাশ পাই না । । একবার যমজ ও হয়েছিল — —“বেঁচে অাছে ?” না ! ‘তবুও রক্ষা, মা তলে এত ছেলেপিলে নিয়ে কী করত চোরা ?” ‘লাইন করে তিন-চারটি এখন ও মাসটার চিয়ে রেখেছেন । 'যোগেশবাবুর মাইনে ক’ত ?” শি টাকা । পরের সামনে লাউ, কুমড়ো, বেগুন, মরিচের ক্ষেত অাছে - সকাল বেলা একটা টুইশান করেন—- দু-জনেই চুপচাপ বসে ছিলাম । অভয়—“এখানে কিছু দিন অাগে একটা থিয়েটার এসেছিল জানেন ? —‘হঁ। । কলকাতার থেকে । শুনেছি কয়েকজন এসেছিলেন । আৰ্টিস্ট যোগেশ দা অার আরো অাট-দশ জন মাস্টার দিনরাত সত্যাগ্ৰহ করে সেই থিয়েটারের সিটের সামনে চিৎ হয়ে পডে থাকতেন