পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দূরে অত্যন্ত পীড়িত সন্ধুচিত হয়ে পায়চারি করছেন । টিকিট কেনেন নি ?” “শুনুন । অামি পালিয়ে যাবার পথ খুঁজছি, দ্বিজেনবাবুর সঙ্গে চোখাচোখি হয়ে গেল ; নিস্তার নেই ; দু-জনেই খানিকটা থাতমত খেলাম—খানিকটা হি-হি করে হাসলাম, পাঞ্জা লড়লাম, দ্বিজেনবাবু অামাকে চা খাওয়াবেন বলে সাধলেন, অামি তঁাকে পান খাওয়াব বলে পয়সা বের করলাম, কাছেই একটা পানের দোকানে গিয়ে অামার ঘাম দিয়ে জর ছাড়ল । তার পর টামে চড়ে সটান মেসের দিকে যাত্ৰা ! —“থিয়েটার আপনি দেখেন নি কোনোদিন ?” ভাবতাম চাকরি করবার সময় দেখব ।” ‘না । । যখন কলেজে পড়তাম, টাকা-পয়সার অভাবে দেখতে পারি নি, ‘চাকরি তো থিয়েটারের দরজায় সত্যাগ্ৰহ করতে বলছে ।" অভয় খানিক ক্ষণ চুরুট টেনে —“এখানে একটা সিনেমা অাছে জানেন ? —‘জানি বইকি “মাসে-মাসে বেশ ভাল ফিলা অাসে শুনেছি ‘এডুকেশনাল ? না-না নন-এডুকেশনাল—কিন্তু দেখবার জো নেই —“ছেলেরা মাস্টারমশাইকে বায়স্কোপে যেতে দেখলে অার অাস্ত রাখবে না ।” ‘নাঃ ! নিজে অামি যা নই ছেলেদের কাছে, টিচারদের কাছে নিজেকে সেই অস্বাভাবিক বিড়াল সাধক বলে যে দিনের চব্বিশ ঘণ্টা প্ৰমাণ করতে হয় এর চেয়ে কঠিন বিড়ম্বনা আর কি কিছু অাছে শচীনবাবু ?” অভয় একটু চুপ থেকে—"সিনেমায় তো যেতেই পারি না—কোনো ছেলে যদি গিয়েছে এ অভিযোগ কানে অাসে তা হলে তাকে দস্তুর মত শাস্তি দিতে ৩০ হয় । ও88 | নিজের বিশ্বাস ও বিবেককে এ-রকম উলেটা গাধার পিঠে চড়িয়ে পদে-পদে এ-রকম অসত্যের খেলা খেলে কতদিন কাটাতে পারা যায়, বলুন । ‘বিনে পয়সায় তো খেলছেন না, পঁয়তাল্লিশ টাকা করে পুরস্কার পাচ্ছেন