পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাসে । —“বাস্তবিক । টাকার যে এত দাম কলেজে পড়বার সময় তা একেবারেই বুঝি নি । —“ক-বছর মাস্টারি করছেন ?? -“ছ-বছর । হেডমাস্টারের তোশামুদি করি । গ নিং বডির তোশামুদি করি । তারা যাদের ঘৃণা করেন তাদের পোঁদে পিচকারি কাটি । জীবনে যা পাই নি, কিন্তু চেয়েছি, সত্য ও সুন্দর, পদ-পদে তার অপমান করি —“আপনি নিজে একটা ইস্কুল খুললে পারেন ?” ‘কী হবে তাতে ?” ‘নতুন নিয়ম করবেন ‘নতুন নীতি তৈরি করতে বলেন ? ‘এই ধরুন—থিয়েটারের দরজায় আপনাদের ইস্কুলের মাস্টারদের সত।াগ্ৰহ করে পড়ে থাকবার কোনো অাবশ্যক হবে না । ‘এক-অাধ দিন তারা থিয়েটারে গেলে ও পারে : কি বা সিনেমায় ?” —“সেটুকু স্বাধীনতা তাদের থাকবে । কার বিরুদ্ধে কোনো তরফ থেকে কোনো নালিশ শুনতে যাবেন না ; যে-যার ক্লাশে ঠিক মতন কাজ করছে কি না—ইলে কাজ সন্তোষজনক কি না এইটুকু নিজের বুলি বিচার দিয়ে দেখে নেবেন । ‘তারপর ? ‘তারপর ঘরে বসে কেউ যদি চুরুট টানে, কিংবা বোদলেয়ার পড়ে, অথবা যোগেশবাবুর মতন প্ৰথম রাতটা স্ত্ৰীকে নিয়ে কাটিয়ে দেয়— তা দিক । এ-সব ব্যাপার নিয়ে তাদের নিন্দে করবার কোনো দরকার নেই । মানুষ পৃথিবীতে কতটুকুই-বা চায় ? পায়-বা কতটুকু ? কতক্ষণের জন্যই-বা পায় ?” কিন্তু এ-রকম ইল দু দিনও টিকবে না ।" তা টিকবে না জানি । —“কোনো টিচারই সিনেমায় যেতে চাইবে না। । বোদলেয়ার বা ভিলোর নামও তারা শোনে নি । কতৃপক্ষের কাছে কার নামে কেউ কোনোদিন নালিশ ৩১