কালুবাবু নিশীথের মুখের দিকে তাকিয়ে বললে পড়েছিল । *কেন, কী করেছিল ?—’ ‘খুড়োর কী রটিয়ে বেড়ানো উচিত ভাইপোদের গুখখুরি’—কালুবাবু কিছু বলবে কি না-বলবে ইতস্তত করতে লাগল কিছু ক্ষণ । পরে নিশীথকে এ সব জিনিসের থেকে আলগা গোবেচারি মাস্টার অনুভব করে নিয়ে বললে,— ‘গণয়ের মেয়েদের নিয়ে ধানক্ষেতে ছেলে কী করছে না-করেছে জানি না । তা নিয়ে মোকদ্দমা হতে পারে নি । গোফ চেচে পিছলে এসেছে । জলপাইহাটিতে মেয়েদের অনুমতিতে তাদের সঙ্গে কাজকর্ম করে ওরা, জোর-জবরদস্তি করে না । কাজ শেষ হলে যে যার নিজের ঘর আলো করে বসে থাকে গিয়ে, আত্মীয়-স্বজনেরা, কখনো-কখনো সন্দেহ করে বটে, কিন্তু হাতে-হাতে ধরতে পারে না । এখানকার ভদ্রলোকেরা আজকাল খুব হুসিয়ার হয়ে গেছে— প্রায় কোনো বাড়িতেই ঢোকবার উপায় নেই নরেনদের', চোখ তুলে কালুবাবু জিজ্ঞেস করলেন নিশীথকে, “আপনাদের বাড়িতে যেত ?’ ‘যেত একসময়’—কিন্তু যখন যেত তখন তো কিছু শুনতে পায় নি নিশীথ । রানুকে ওদের সঙ্গে মিশতে তো দেখে নি কোনোদিন । কী জানি, কলেজের কাজে, লাইব্রেরির নতুন-নতুন বই-জার্নালে, লেখায়-পড়ায়, নিজের মনেভাবাবেগে এতই কি বিমুগ্ধ হয়ে ছিল নিশীথ যে কিছু টের পায় নি ? চোখে পড়ে নি তো কিছু ওর কোনো দিন । তা ছাড়া কালুবাবুকে আসল কথা বলতে অাসে নি তো নিশীথ । কালুবাবুকে সে জানতে দেবে না, ঠিক কী সে জানতে চায় । "নরেনরা যেত এক সময় । কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে মিশতে পারত না ।” ‘কেন ? ‘মেয়ের ভিতরে থাকত। বডড লাজুক । ছেলেদের দিকে ঘেঁষত না । ‘ও ! দু-একটি মেয়েকে সরিয়ে ফেলবার চার্জে মোকদমা হয়েছিল’— কালুবাবু গর্দানে হাত বুলোতে-বুলোতে আস্তে-অস্তে বললে । ‘কবে ? ‘বছ দেড়েক অণগে—’ ‘কোথাকার মেয়ে ?” ‘একটি বারুণীপুরের আর একটি জলপাইহাটির’— rbfゲ
