পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘সেটা ফিনান্স কমিটি বুঝবে। এখানে সে কথা কে জানে—কে বলবে আপনাকে ?’ “আণপনি সেক্রেটারি—আপনিই তো জানেন সব ।’ ওয়াজেদ আলি সাহেব ব্রজমাধববাবুর র্কাধে হাত রেখে চেপে দিয়ে বললেন, এখানে হরিলালবাবু বাড়িতে এসে ও-সব কথা জিজ্ঞেস করা তো ঠিক নয় । যদি দরকার হয়—সাব কমিটিতে ফিনান্স কমিটিতে, আলোচনা করবেন’ । ফিনান্স কমিটিতে একবারও আমি জায়গা পাই না –ব্রজমাধববাবু খানিকটা তিক্ত, পীড়িত হয়ে বললেন ।

  • কেন ?"

‘হরিলালবাবু জানেন— ‘সবই তো জানে হরিলাল । হাসের পেটে কেন ডিম আসে, ব্রজবাবুর পশার যত কমে যাচ্ছে মেজগজ তত বেগড়াচ্ছে—পাছণর কাপড় ছিাঁড়ে যাচ্ছে—সবই হরিলালের কণবসাজি’—বলে হরিলালবাবু চুরুটটার দিকে একবার তাকিয়ে নিয়ে টানতে আরম্ভ করলেন । ‘এবারকার ফিনান্স কমিটিতে আপনাকে নেব ব্রজমাধববাবু?—ওয়াজেদ আলি আগশ্বাস দিয়ে বললেন । ‘আমি এক গিয়ে করব কী—সবই তো আমার বিপক্ষে । ‘যাবেন, আবার যাবেনও না, সে কী করে হয় । চলে যান ফিনান্স কমিটিতে, গিয়ে লড়বেন, একণ লড়বেন । নিজেকে, সকলকে, আবহাওয়াকে বেশ পরিস্কার ঝঝ"রে করে দিয়ে আগসবেন—' ‘আপনি যাবেন আলি সাহেব ফিনান্স কমিটিতে ? ‘অামি ? না, আমি না—’ ‘কেন ?? ‘ও-সবের বুঝি না কিছু আমি । হরিলালবাবু মনে করেন আমি কলেজ ফিনান্সের হদিশ পাই না । প্রিন্সিপালের মাইনে সাতশ টাকা করে দিতে বলেছিলুম, প্রফেসরদের তো চারশ-পাচশ দিতে চাই । ওতে হয় না । হরিলালবাবুর মতন একজন জানেওয়ালা মানুষ ব্রেক কষে না-ধরে থাকলে তা টেকে না ।” ‘ঠিক কথা বলেছেন ওয়াজেদ আলি সাহেব’—অন্তিম দত্ত বললেন । ఏఏఏ