পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারে, কিন্তু তবুও তা আলাদা জিনিস। দিন বদলাচ্ছে, দেশ বদলাচ্ছে, মানুষ 卒7河tて5獲ー" ঠিকই তো’—অনেক ক্ষণ পরে সুমন বললে, কিন্তু যে জিনিসের জন্যে অনেকটা বছর ধরে কাজ করা যায় সেটার একটা সুভালাভলি হলেও তাকে ব্যর্থ মনে করতে হবে এ কী রকম ? কিসের ? কী যেন কোনো এক নিহিত পৃথিবীর থেকে টলমল দুটো কালো চোখ ফিরিয়ে এনে জিজ্ঞেস করল অর্চনা । পলিটিকসের কথা সে ভাবছিল না, সুমনার কথার দিকে আধখানা কান ছিল কি না ছিল । কান মন সরে যাচ্ছিল তার, অন্ধকার, অনেক জল এসে জীবনের অন্য সব চিন্তা ও ধ্বনির তাগিদগুলি থামিয়ে মানুষের মনটাকে জলের মতন অচেতনে নিস্তব্ধ নিশীথ করে রাখছে যেখানে । ‘সফল পরিণতি নয় ? দিন রণত রক্ত ঢেলে লড়েছিল বটে কংগ্রেস, কিন্তু অমরা বেঁচে থাকতে-থাকতেই যে দেশটাকে স্বাধীন করে দেবে তা ভাবতে পারি নি ।” ‘দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়েছে”—অৰ্চনা বললে । ‘স্বাধীন করে দিয়েছে দেশটাকে । ‘পাণটেল সেদিন বলছিলেন জওয়ার ক্ষেতের থেকে হণ ততালি দিয়ে পাখি তাড়িয়ে দেবার মতন করে ইংরেজদের খেদিয়ে দিয়েছে ক” গ্রেস ?’ ‘তা তো বটেই, তা তো দিয়েছেই তো ' ‘চলে গেছে ইংরেজরা ?? আছে গুটিকতক দালালি করবার জন্যে’—সুমনা বললে, কিন্তু তবুও ঠিক বলা হল না মনে ভেবে উশখুস করে বললে, ‘ও চলে গেছে সব । ইংরেজরা চলে গেছে । ইউনিয়নে নেই ওরা আণর । 'না, নেই ওরা আর । ব্রিটিশ চলে গেছে।’ “ব্রিটিশ গেছে।’ ‘দেশটা স্বাধীন হয়েছে আগমণদের । ‘দেশটা আমাদের স্বাধীন হয়েছে, ইস !' ‘কী হল ?’ ‘মাথাটা ঘুরে গেল কেমন, আমার হাতটা চেপে ধরে । একটু কাছে এগিয়ে ১৩8