পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করব |" ‘আমি স্বীকার করেছি ।” ‘তা করেছ তুমি ওঁর শিম্ভ বলে । আচনি খোপায় হাত দিয়ে সেটাকে ঠিক করে নিল । অণলগা বেঁধেছিল অনেক ভারী চুলের মস্ত বড় খোপাট । ঠিক করতে-করতে সেটাকে অণলগা করেই রেখে দিল তবু । কোনো কথা বললে না । ‘আমি ভেবেছিলুম— “থাক, তোমার বাবার কথা এখন থাক ।” কিন্তু অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে নিশীথের কথাই পাড়ল আচনি ; বললে, তিনি তো কলকাতায় চলে গেছেন ; চিঠি লিখলে আসবেন বলেছেন । তা তিনি অণসবেন না ।” ‘কী করে জানলে ?’ ‘এ যদি না-জানলাম—’ না, এর পর আর নিশীথবাবুর কথা পড়বার দরকার নেই আচনির কাছে । বাতাসে-বাতাসে হারাতের মাথার চুলগুলো কাকের বাসা হয়ে গেছে । আচনি৷ তার খোপা ঠিক করে নিচ্ছে । হরীত তাকিয়ে দেখল । খোপা জুত করে নেবার ছলে নিজের মুখ হরীতকে দেখতে দিচ্ছে না । কেমন যেন সেই মুখ ; নাকে ঘাম জমেছে, চোখে শিশির ; সামনে একটা চনচনে উনুন রয়েছে যেন । ‘তোমার স্লো ফিভার হয়, তুমি নিজে বুঝতে পারছ না, কিন্তু আমি টের পেয়েছি । ’ ‘থার্মমিটার দিলেই মিটে যাবে, কী হয় না-হয় । ‘তুমি জলপাইহাটতে থাকবার ব্যবস্থা করে ফেলো । ‘থাকব ভাবছি । কত দিন থাকব ?’ ‘রণতে-রণতে জ্বর হলে অনেক দিন থাকতে হবে ।’ ‘কেন, এর বুঝি ওষুধ নেই কলকাতায় ?”

  • নেই I'

‘নেই ?’ "তোমার মতন লোকেদের নেই—: aug}} সুমনার অসাড় ঘুমের থেকে বাইরের পাতা, পাখি, বাতাস, সজীবতার S&8