পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘জলপাইহাটি থেকে এসেছেন বুঝি ? নাকি সাব-ডিভিশন থেকে—" ‘না । আমি কলকাতায় প্র্যাকটিস করি—’ ‘ওঃ’ ; নিশীথ বললে ; কী যে অন্যমনস্ক মন তার ; এই তো ভদ্রলোক বলছিলেন ট্রপিক্যাল ডিজিজের রিসার্চ করছেন— ‘আমি আগে কাচড়াপাড়ায় ডাক্তারি করতুম । আজকালও যাই মাঝে-মাঝে সেখানে—” ‘ও শিগগির গিয়েছেন ?? ‘সেখান থেকেই ফিরেছি কাল কলকাতায় ।” ‘কলকাতায় কোথায় থাকেন আণপনি ?’ অগমি পার্কসার্কাসে থাকি ? সেখানে কি সুবিধে হয় ? ‘বডড গোলমাল চলছিল । দাঙ্গার সময় পার্কসার্কাসে ছিলুম। খুন করে ফেললেও করতে পারত । কয়েকবার চেষ্টাও করেছিল । ডাক্তার বলে কেউকেউ আমার উপর সদয় ছিল । কিন্তু ম্যাস-হিস্টিরিয়ার সময় মানুষ তো আর কাণ্ডজ্ঞানে চলে না’, সুবল বললে, ‘পার্কসার্কাসের শাহাদৎ হোসেনের পরিবারই আগমণকে রক্ষণ করেছে ; বিশেষত, মেয়েদের হিম্মতেই বঁচা সম্ভব হয়েছে— সে এক ফিরিস্তিই বটে— । ‘কী হয়েছিল, বলুন । সুবল হাতঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললে, “আর-এক সময় বলব, নিশীথের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললে, ‘কাচড়াপাডার কথা বলছি । ’ ‘সেখানে তো যক্ষ্মা হাসপাতাল অাছে।’ “আগছে । দেখেছেন হয় তো ।” ‘ন)ঃ যাই নি । সেখানে আমার শালা আছেন, শঙ্কর গুপ্ত, বড় ব্যবসায়ী লোক, কয়েক লাখ টাকা আছে ।” ‘র্তাকে চিনি আমি, কাল দেখা হয়েছিল গুপ্ত সাহেবের সঙ্গে । আপনার মেয়েকে কণর সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন কঁচড়াপাড়ায় অপনি ? ‘আমার মেয়েকে ? ভানুকে ? নিশীথের বুকটা দুর দুর করে উঠল, বললে, ‘ভানুর খবর কী ? আপনি দেখে এসেছেন তাকে ? ‘বলছি, স্টেথোস্কোপট সোফার উপর থেকে তুলে নিয়ে হাতে দুলিয়ে সুবল ১৬O