পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘ইনি হচ্ছেন শ্ৰীযুক্ত নমিতা দাশগুপ্ত, আমার বন্ধু গ্রাহাম অ্যাণ্ড গ্র্যাহামের শ্রীযুক্ত জিতেন দাশগুপ্তের স্ত্রী’—হাসির বিলিক, নমস্কার দেয়া-নেয়া শেষ হয়ে গেলে নমিতা বললে, "আচ্ছা আমি উঠি । জুলফিকার আমাকে ডাকছে— ‘জুলফিকারের অসুখ ? 'না, সে ভাল আছে । অসুখ শুধু মার । *আপনার বাবার অবস্থা ও একই রকম ? নমিতার ভুরু দুটোর মাঝখানে একটু খিচি এসে পড়েই মিলিয়ে গেল, বললে, ‘প্রায় সেই রকমই। একটু খারাপ হয়েছে হয় তো । ডাক্তারবাবু আসবেন । ‘ডাক্তর রোজেনবুর্গ ? ‘রোজেনবুর্গ !’ ‘জুলফিকার’—নিশীথ থেমে গেল । “জুলফিকারের কথা কী বলছিলেন ? জুলফিকার সু বার ফোন করেছিল, আমাকে বললে । এবারে যে করেছে তার অণধ ঘণ্টা অণগে অারেক বার ।

  • কই শুনি নি তো । অণপনি শুনেছিলেন ??
  • ন । শুনি নি তো । কী হল ?’ “জুলফিকার নিজে বলেছে যে ফোন করেছিল ?’ ‘নিজের মুখে বলেছে জুলফিকার’—নমিতা বললে । ‘তা হলে তো মহাভারত অশুদ্ধ হয় না, নিশীথ বললে ।

নিশীথের মুখের গম্ভীর নিস্তব্ধতার দিকে তাকিয়েই কেমন যেন একটু হাসি পেল সুবলের । সুবলের মুখে যে-হাসির ভাব এসে পড়েছে নমিতার সেদিকে দৃষ্টি ছিল না ; নিশীথ আগন্দাজ করছিল হয় তো সে সুবল হfসছে । কিন্তু সে সুবলের দিকে ফিরে তাকাচ্ছিল না । ‘জুলফিকার শব্দের মনে কী ? নিশীথ জিজ্ঞেস করল । নমিত মানে জানে না । কোনো ইংরেজির থেকে ইংরেজি, বাংলার থেকে বাংলা কোনো অভিধানেই শব্দটির মানে পাওয়া যাবে না, সুবলও বলে দিতে পারে না । কোনো রকম ডিকশনারিই নেই এ বাড়িতে ; কেমন অস্বস্তি rে < করছিল নিশীথ । ‘জুলফিকার—’ ‘কী বলছিলেন জুলফিকার'—সচকিত হয়ে মুখ তুলে তাকাল নমিত। ১৬২